শিশু থেকে বয়স্ক, সকলেরই শীতের মৌসুমে ফুসফুসের সমস্যা বেড়ে যায়। তার উপর যদি ‘সিওপিডি’-র মতো রোগের ইতিহাস থাকে, সে ক্ষেত্রে সমস্যা বাড়বে এ কথা এক রকম নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে। এর উপর অনেকেরই ধূমপান করার অভ্যাস থাকে। যা ফুসফুসের জটিলতাকে আরও গুরুতর করে তোলে। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তাই চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এই মৌসুমে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেন। এ ছাড়াও এমন কিছু খাবার আছে, যা ফুসফুসের সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
১) গোলমরিচ: ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর গোলমরিচ, ফুসফুসের প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে যে সংক্রমণজনিত সমস্যা হয়, তার সঙ্গে মোকাবিলা করতেও সাহায্য করে।
২) হলুদ: শরীরে যে কোনও রকম সংক্রমণ কমাতে হলুদ অব্যর্থ। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হলুদে থাকা ‘কারকিউমিন’ ক্যানসার রোধ করে। এমনকি, ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়াও আটকায়।
৩) আদা: ঠান্ডা লাগলে আদা-চা খেতে নিদান দেন বাড়ির সকলেই। এই আদা হল ফুসফুসের সুরক্ষা কবচ। শুধু ঠান্ডা লাগা নয়, শ্বাসযন্ত্রের যে কোনও সমস্যাতেই আদা প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ হিসাবে কাজ করে।
৪) রসুন: এই শীতে প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে এক কোয়া রসুন খেতে শুরু করেন। মনে করেন, রসুন খেলে বোধ হয় গা গরম থাকে। আসলে রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ফুসফুসের সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে।
৫) আখরোট: ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর আখরোট, শুধু মস্তিষ্কের নয়, ফুসফুসের সংক্রমণও রোধ করতে পারে। পাহাড়ি এই বাদামের প্রদাহ রোধকারী ক্ষমতার গুণেই ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়াতে পারে না।
৬) শাক: টাটকা সবুজ শাক, যে কোনও রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষমতা জোগায়। তবে ফুসফুসের জন্য আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালশিয়াম এবং ভিটামিনে ভরপুর পালং, কালে, বকচয় খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
৭) বার্লি:ফাইবারে সমৃদ্ধ এই দানাশস্যটি ফুসফুসের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। আগে জ্বর হলে চিকিৎসকরা ভাতের বদলে বার্লি খাওয়ার নিদান দিতেন। তবে এখন আর শুধু জ্বর হলে নয়, ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতেও বার্লির ভূমিকা রয়েছে।