নীলফামারী জলঢাকায় অবৈধভাবে চাষাবাদকৃত জমি থেকে অবৈধপন্থায় মাটি কাঁটায় ৩টি ট্রাক্টর জব্দ করেছে সহ-কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ অফিসার জিন্নাতুল ইসলাম। গত রবিবার উপজেলা টেংগোনমারী ও রাজারহাট ভাটার কাজে ব্যবহৃত এ সব ট্রাক্টর জব্দ করে উপজেলা ভূমি অফিসে নিয়ে আসা হয়। জানা যায়, বর্তমান ইরি বোরো মৌসুমের আগেই অসাধু একটি মাটি খননকারী চক্র সক্রিয় সিন্ডিকেট বিভিন্ন চাষাবাদকৃত জমির মালিকদের নিকট স্বরনাপন্ন হয়ে কৌশলে ভুলভাল বুঝিয়ে জমির মাটি কর্তন করে সেই সকল মাটি অধিক দামে বিক্রি করছে। সম্প্রতি এ সিন্ডিকেটটি বেশির ভাগ মাটি সাপ্লাই করছে ইটভাটা গুলোতে। অনুসন্ধানে জানা যায়, এই মৌসুমে ইটভাটার মালিকগন বিভিন্ন স্থান থেকে ইট তৈরীর মাটি সংরক্ষণ করে থাকেন। এ জন্য তারা ভাটার পার্সবর্তী কিংবা চাষাবাদকৃত জমি গুলো টার্গেটে রাখেন। চাষাবাদকৃত ফসল ঘরে উঠলেই উৎ পেতে থাকে মাটি সংরক্ষণকারী চক্রটি কৃষকের দ্বারস্থ হয়ে এই অবৈধপন্থা অবলম্বন করে বিপুলসংখ্যক অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে সরকার যেমন হারাচ্ছে সরকারি মুনাফা তেমনি করে বিলীন হচ্ছে সুক্ষ মাটি। অন্যদিকে এর প্রভাব পরছে মানবিক পরিবেশে। আবার মাটির উর্ভরতা ও হ্রাস পাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সম্প্রতি এ সকল ট্রাক্টর জব্দ করার পর পৌর ভূমি অফিস কার্যালয়ের সামনে মালিক পক্ষের লোকজনের ছোটাছুটি চোঁখে পরার মত। একটি সূত্র জানিয়েছে, ভাটা মালিকরা এ সকল ট্রাক্টর ভাড়ায় নিয়ে মাটিকাটা কাজে ব্যবহৃত করছেন। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি ও এক্সিকিউটিভ অফিসার জিন্নাতুল ইসলাম এর সাথে কথা বলে জানা যায়, রবিবার দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়। প্রচলিত আইন অমান্য করে ইট ভাটার মালিক অবৈধ ভাবে তিনটি ট্রাক্টর দিয়ে মাটি কেটে আসছিলো। পরে ঘটনা স্থল থেকে তিনটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়।জব্দ করা এসব ট্রাক্টরের মালিকদের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০১৩ ধারা ১৫/১ এর অনুযায়ী পৃথক দুটি মামলার মাধ্যমে তাদের কে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া তিনি আরো জানান, অনিয়ম রোধে প্রশাসন কাজ করছে। অনিয়মকারীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।