শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের গড়া দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আর সেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী সমগ্র বাংলাদেশের ন্যায় নেছারাবাদ উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল সম্পন্ন করেন পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সন্মানিত সদস্য মোঃ ফখরুল আলম। সোমবার দুপুরে মিয়ারহাট বাজারের মধ্যে বিএনপির অস্থায়ী অফিস কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারণে বিক্ষোভ মিছিল বেশীদূর আগাতে সক্ষম হয়নি। তবে আগে ভাগেই দশটি ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ কয়েক শতাধিক নেতা কর্মী উপস্থিত থেকে বিক্ষোভ মিছিলকে সার্থক করে তোলেন। স্থানীয় প্রশাসনের নজরদারির মধ্যে শান্তি পূর্ণ পরিবেশ তৈরি করে বিক্ষোভ মিছিল সম্পন্ন হয়। টান টান উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল আজকের বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে। এদিকে সকাল থেকেই দশটি ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ নেতা কর্মীরা আসতে শুরু করে। বিক্ষোভ মিছিল সম্পন্ন করতে চলে আসেন। আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আহবায়ক কমিটির সন্মানিত সদস্য মোঃ ফকরুল আলম বক্তব্য রাখেন। তিনি বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেওয়া সকল নেতা কর্মীদের বলেন, আজ আমাদের সকলের জন্য কঠিন সময় অতিবাহিত হচ্ছে। সরকারের বিরুদ্ধে গঠন মূলক দুর্বার আন্দোলন করার জন্য আমাদের সকলের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। রাতের অন্ধকারের নির্বাচনের সরকারের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলে একযোগে আন্দোলন করতে হবে। অতীতের দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে একমঞ্চে উঠতে হবে স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সকল নেতা কর্মীদের। বাংলাদেশের আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনা মেনে চলে আজকের মত বিক্ষোভ মিছিল সহ আগামীর সকল কর্মকা-ে সক্রিয় ভাবে সকল নেতা কর্মীদের অংশ গ্রহণ করতে হবে। আলোচনার এক পর্যায়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আজ দেশের মধ্যে সরকার জনগণের কথা ভাবেন না। মনগড়া যা খুশি তাই করে যাচ্ছে যত্রতত্র ভাবে। জ্বালানি গ্যাস সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম অ-স্বাভাবিক। বাজারে গিয়ে সাধারণ মানুষের বেহাল দশা। সর্বশেষ বিদ্যুৎতের দাম আবারও একধাপ বাড়িয়ে গ্রাহকদের নাভিশ্বাসাস্য করে চুলছে। বর্তমান সরকারের আমলে দুর্নীতি আবডাল করতে চেষ্টা করলেও বিদেশি গণমাধ্যম কর্মীরা দুর্নীতির শ্বেত পত্র পেশ করে যাচ্ছে সুকৌশলে। ব্যাংকের দুর্নীতি আজ কঠিন ভাবে চোখে পড়ার মত। আজ আমাদের সকলকে স্বোচ্ছার হতে হবে। এদিকে আজকের বিক্ষোভ মিছিলের পর বিএনপির অস্থায়ী অফিস কার্যালয়ে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এম এ হাকিম স্যারের সুযোগ্য পুত্র আলহাজ্ব আল বেরুনী সৈকত। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সময় এসেছে সকলকে একত্রে আন্দোলন করার। আহবায়ক কমিটির মধ্যে কে আছেন বা কে নেই তা নিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। বরং দলের প্রয়োজনে খাঁটি ও নির্ভেজাল কর্মী হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আজ সময় এসেছে সরকারের বিরুদ্ধে জেহাদ করার। এদিকে আজকের আলোচনায় অংশ নেন পৌর সভার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে কাজী আনিসুজ্জামান আনিস সহ পৌর সভার আরও বহু নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তরা আলোচনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলার শীর্ষ নেতাদের উপর। তারা কঠিন ভাষায় আহবায়ক কমিটির প্রধান সহ অনেকের সমালোচনা করে। উপজেলা আহবায়ক কমিটির মধ্যে বহু যুগ্ম সম্পাদক পদ নিয়ে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। বহু বিতর্কিত নেতাদের স্থান দিয়ে বিতর্কিত হয়। অথচ স্বরূপকাঠি উপজেলার মধ্যে বহু ত্যাগী ও প্রবীণ নেতৃবৃন্দকে উপেক্ষা করে উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির নাম ঘোষণ করে। বিক্ষোভ সমাবেশের আলোচনায় নাম না প্রকাশের শর্তে গণ মাধ্যম কর্মীদের বলেন, আহবায়ক কমিটির মধ্যে অযোগ্য লোকদের স্থান দেওয়ার পিছনে গোপন আঁতাত করার গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছে। বিগত সময়েও পিরোজপুর জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ কমিটি নিয়ে রমরমা বানিজ্য করার অভিযোগ উঠেছিল। অবশ্য এবারও নানান প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে ত্যাগী ও প্রবীণ নেতা কর্মীদের মধ্যে। আলোচনার মধ্যে বিক্ষোভের পাশাপাশি স্বরূপকাঠি সদর ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ আটঘর কুডিয়ানা শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সুটিয়াকাঠীর ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, সোহাগদল ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দরাও জোরালো ও কঠিন ভাষার বক্তব্য রাখেন। বলদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ দৈহারী ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দও চমৎকার এবং সময় উপযোগী বক্তব্য রাখেন আজকের বিক্ষোভ সমাবেশের আলোচনা সভায়। বাদ যায়নি সারেংকাঠী ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সহ জলাবাড়ী ইউনিয়ন বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দরাও সময় উপযোগী চিন্তা ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন। এদিকে আজকের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সুটিয়াকাঠীর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নিপু, মোঃ কাওসার আহমেদ, মোঃ ওলিউল্লাহ, মোঃ রাজিব রায়হান, মোঃ রফিকুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম। সমুদয়কাঠী ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মজিদ খান, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান আক্তার ও এইচ এম শাকিল আহমেদ সহ আটঘর কুডিয়ানা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন নান্টু সহ মোঃ আলমগীর হোসেন ও মোঃ জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও সদর ইউনিয়নের বিএনপির ভারপ্রপ্ত সভাপতি এন এম ডি হুসাইন সহ জনপ্রিয় সাবেক জনপ্রতিনিধি ও ক্রীড়া সংগঠক মোঃ মুনিরুল ইসলাম মুনির। এদিকে উপজেলা মহিলা বিএনপির নারী নেত্রী ও জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি মোসাঃ মাকসুদা মিন্টু ও নারী নেত্রী শামিমা আক্তারও উপস্থিত ছিলেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আজকের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল শান্তি পূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময়ে জেলা ও স্থানীয় বহু গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা ছিল দারুণ প্রশংসনীয়।