বরিশালে দুঃস্থদের পাশে দাড়ালেন শেবাচিমের আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ
বরিশাল প্রতিনিধিঃ নোভেল কোভিড-১৯,করোনা ভাইরাসে আপদকালীন সময় দরিদ্র রোগীদের পাশে দাড়ালোন শেবাচিম হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ। চিকিৎসা শেষে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরা রোগীদের অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান ছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার হাসপাতালের বারান্দায় দুরুত্ব বজায় রাখার জন্য গোল বিত্ত চিহ্ন একে দিয়েছে এই সংগঠনটি। এর মধ্যে রোববার বিকাল থেকে হাসপাতালে ভর্তির পর ছাড়পত্র প্রাপ্ত রোগীদের বাড়ীতে খাওয়ার জন্য খাদ্য সহায়তা প্রদান কার্যক্রম শুরু করেছেন। প্রতিদিন ২০ জনকে শুধু খাদ্য সহায়তা নয় বাড়ী ফেরার যাতায়াত বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ সুদীপ কুমার হালদার।
তিনি বলেন, হাসপাতালে অনেক রোগী ভর্তি হন। যারা খুবই গরিব তারা ছাড়পত্র পেলে তাদের হাতে আমরা চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ, লবন তুলে দিচ্ছি। পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য নগদ অর্থও দিচ্ছি। আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ’র সদস্যরা ব্যক্তিগত ভাবে এই খরচ যোগাচ্ছে। এর পাশাপশি আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদ ফান্ডে থাকা অর্থও খরচ করা হচ্ছে।
আমাদের এ কার্যক্রম চলবে করোনা ভাইরাসের আপদকালীন সময় পর্যন্ত। এদিকে এর আগে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে সোশ্যাল ডিসট্যান্স বা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবার ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় রং দিয়ে গোল চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন। ওইসব গোল চিহ্নিত জায়গায় দাঁড়িয়ে এরইমধ্যে সেবা নিতে শুরু করেছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা। এতে করে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে।
গত ২৮ মার্চ দিনগত রাতে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন শেবাচিম হাসপাতালের আন্তঃবিভাগ চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. সুদীপ কুমার হালদার। তার ওই পোস্টটিতে ছবিগুলোতে দেখা গেছে, তিনিসহ কয়েকজন চিকিৎসক হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের সামনের করিডোর, বহির্বিভাগ টিকিট কাউন্টারের সামনে রং দিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গোল চিহ্ন আঁকছেন। পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের সেই চিহ্নিত ঘরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। চিকিৎসকদের এ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারন রোগীর স্বজনরা।