ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের হলরুমে নিয়মিতভাবে শিক্ষকদের সাথে জামায়াত করে জোহরের নামাজ আদায় করছে। এই জামা’আতের ইমামতি করেন অত্র প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষক মাসুদুর রহমান।
দুপুর ১ টা বেজে ১৫ মিনিট থেকে ২ টা ১০ মিনিট পর্যন্ত বিদ্যালয়টিতে টিফিন পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে যোহর নামাজের ওয়াক্ত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের পৃষ্ঠপোষকতায় শিক্ষার্থীদের জামায়াতে নামাজ আদায়ের সবধরনের ব্যবস্থা করা হয়। যা ৫ মাস পূর্ব থেকে শুরু হয়ে চলোমান রয়েছে। শিক্ষার্থীরাও ৫টি ক্লাস শেষ করে ওজু করে নামাজ আদায়ের জন্য হলরুমের চলে যায়।মেয়ে শিক্ষার্থীরা মহিলা শিক্ষকদের সাথে কমনরুমে একসাথে নামাজ আদায় করে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের জন্য মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আলাদাভাবে উপসনালয় তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানা যায়। বিদ্যালয়টির সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী তানজিম মাহমুদ জানান, আমরা সকলে একসাথে স্যারদের সাথে নামাজ আদায় করি। স্কুলে জোহরের নামাজ পড়া এখন আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ধর্মীয় শিক্ষক মাসুদুর রহমান জানান, নামাজ হলো ফরজ ইবাদত। অবশ্যই পালনীয় এই ইবাদতটি শিক্ষার্থীরা যেনো স্কুল জীবন থেকেই নিয়মিত পালন করে থাকে সেজন্যই তাদেরকে সাথে নিয়ে নামাজ আদায়ের এই ব্যাবস্থা করা হয়েছে।মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজমল হোসেন টিপু জানান, বাস্তবভিত্তিক ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা দিতেই শিক্ষার্থীদের জন্য জামায়াতের সাথে নামায আদায়ের ব্যবস্থা করেছি।
প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম রসুল জানান, শিক্ষার্থীদের নামাজ আদায়ের চর্চাটি তাদের নিজ বিদ্যালয়ে থেকেই হোক। জামাতের সাথে নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আমার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উন্নত নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হয়ে গড়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি। উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ পৌর এলাকার কোলা রোডে ১৯৭৩ সালে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে মোট ৬৬৩ জন শিক্ষার্থী নিয়মিত পাঠগ্রহণ করছে। গত বছর এসএসসি পরীক্ষায় এই বিদ্যালয়ে পাশের হার ছিল ৯৯ শতাংশ।এর মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী অ+পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় ১ জন শিক্ষার্থী বৃত্তিও লাভ করে। কালীগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষায় অনবদ্য অবদান রেখে চলা এই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জামায়াতের সাথে নামজ আদায়ের দিকটি অবিভাবকসহ সর্বমহলে প্রশংসা কুড়াচ্ছে।