খবরপত্রে সংবাদ প্রকাশের পর
প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের পাশে দাঁড়ালেন ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। গতকাল বুধবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্য়ালয়ে দেখা করতে গেলে তিনি তার পরিবারের খোজ খবর নেন। গত ২৯শে জানুয়ারী’২০২৩ রোববার “কালীগঞ্জে প্রতিবন্ধী নারী ও শিশু সন্তানের সংগ্রামী জীবন” শিরনামে দৈনিক খবরপত্র পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদটি জেলা প্রশাসক মনিরা বেগমের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনকে ফোন করে খোজ-খবর নেন এবং বুধবার তার কার্য়ালয়ে গিয়ে দেখা করার জন্য বলেন। এসময় বাড়িতে হাঁস-মুরগী পালনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা ও একটি উন্নতমানের হুয়িল চেয়ার প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের হাতে তুলে দেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম। জন্ম থেকে দুইটি পা নেই প্রতিবন্ধী স্বাক্ষী খাতুনের। উচ্চতা মাত্র ২৭ ইঞ্চি। দুইটি হাত দিয়ে চলা-ফেরা তার। প্রয়োজনীয় সব কাজ নিজেই করে থাকেন। উচ্চতায় কম এবং প্রতিবন্ধী হওয়া সত্তেও তাকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান পরিবার। স্বামী ঠিকমতো খোঁজখবর না নেওয়াই বিয়ের পরেও দরিদ্র কৃষক পিতার সংসারে বোঝা হয়ে রয়ে গেছেন তিনি। ৩ মাস আগে জন্ম নেওয়া তার শিশু সন্তানটি বোঝার পাল্লাটাকে যেনো আরো ভারি করেছে। যে কারণে নিজের জীবনের অনাগত দিনগুলো কথা চিন্তা করতেই তার কপালে ভেসে ওঠে চিন্তার ভাঁজ। একটিমাত্র প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড ছাড়া আর কোনো সরকারি কিংবা বেসরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতাও মেলেনি কপালে। তাই অনিশ্চয়তা, শংশয় ও সংকটে কাটছে প্রতিবন্ধী এই নারীর জীবন। স্বাক্ষী খাতুন(৩৭) ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা উল্লা গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে। জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি অসহায় এই প্রতিবন্ধী মায়ের পাশে এসে দাঁড়ান তাহলে হয়তো আগামী দিনের চলার পথ তাদের সহজ হবে।