বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম ::
বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট কলেজে মনমাতানো ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের সরকারের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান অধ্যাপক ইউনূসের রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত থেমে নেই: তারেক রহমান তুর্কি রাষ্ট্রদূতের সাথে জামায়াতের সৌজন্য সাক্ষাৎ চিন্ময় সমর্থক জঙ্গীদের হামলায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম নিহত অভ্যন্তরীণ বিষয় হস্তক্ষেপ: চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের উদ্যোগ শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা চাই না ছাত্র ভাইদের কঠোর হয়ে দমন করতে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাষ্ট্রদ্রোহের ঘটনায় যুক্ত থাকলে ছাড় দেয়া হবে না : আসিফ মাহমুদ

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আড়াই মাসে ধান সংগ্রহ হয়নি এক ছটাকও

আব্দুর রাজ্জাক স্টাফ রিপোর্টার ঝিনাইদহ :
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

ঝিনাইদহের মহেশপুরে আমন মৌসুমে ধান সংগ্রহ অভিযান শুরুর আড়াই মাসের বেশি সময় পার হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এক ছটাক ধানও সংগ্রহ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। গত ২৫ নভেম্বর এ অভিযান শুরু হয়। বাজার দরের তুলনায় সরকারি দাম কম, প্রচারণা ও তদারকি না থাকা,কর্মকর্তাদের অনিয়ম, কৃষক হয়রানিসহ নানা কারণে খাদ্যগুদামে কৃষকের ধান বেচায় আগ্রহ নেই বলে জানা গেছে। নির্ধারিত সময়ে ধান সংগ্রহ করা যাবে কিনা-সে বিষয়েও মাথাব্যথা নেই খাদ্য কর্মকর্তাদের। জানা গেছে, উপজেলায় ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১৪৫ টন। নিয়ম অনুযায়ী কৃষকের অনলাইনে আবেদন করার কথা থাকলেও কেউ আগ্রহ দেখাননি। ফলে গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এক কেজি ধানও সংগ্রহ হয়নি। কৃষকদের অভিযোগ, আগের বছরগুলোয় ধানের সরকারি দর বাজারের চেয়ে বেশি থাকায় প্রকৃত কৃষকরা সুযোগ পাননি। ফলে এবার খোঁজ রাখেননি অনেকে। যাঁরা গুদামে ধান বিক্রি করেছেন, তাঁদের রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী জানান, এ আমন মৌসুমে উপজেলার ১৮ হাজার ১৮৫ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হয়েছে। ফলনও মোটামুটি ভালো। উৎপাদন হয়েছে ৮৮ হাজার ৮৭ টন ধান এবং চাউল ৫৮ হাজার ৭২৫ টন। কৃষক ও সংশ্নিষ্টদের অভিযোগ, খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক পদে পদে হয়রানি, ওজনে বেশি নেওয়া নিত্যদিনের ঘটনা। অভিযানের বিষয়ে এ বছর তেমন প্রচারণা নেই। সে কারণে সঠিক তথ্য জানেন না অনেকে। খাদ্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নানা অনিয়মে জড়িয়েছেন। ব্যবসায়ী ও দালালদের ওপর নির্ভরশীল তাঁরা। খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কামাল যাবতীয় বিষয় দেখভালের কথা থাকলেও তিনি অফিস করেন না। ওসিএলএসডি হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। নিমতলা গ্রামের কৃষক শাহাজান আলী জানান, নিয়মিত ধানের আবাদ করেন তিনি। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অংশ বিক্রি করেন। আগে দু-একবার খাদ্যগুদামে ধান বিক্রির চেষ্টা করেছিলেন। তবে কর্মকর্তাদের অসহযোগিতায় ব্যর্থ হয়েছেন। এ জন্য আর আগ্রহ নেই তাঁর। একই ধরনের অভিযোগ মুন্ডুমালা গ্রামের কৃষক নাজমুল হুদার। তিনি বলেন,কৃষকের নাম ব্যবহার করে কমিশনের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহে বেশি আগ্রহী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) হাবিবুর রহমানের দাবি করেন, কৃষকদের কোনো হয়রানি করা হয় না। প্রকৃত কৃষকের নামের বিপরীতে ধান কেনা হয়। কৃষক সেজে অন্য কেউ ধান দিলে কিছু করার থাকে না। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, সরকার নির্ধারিত দিনে ধান সংগ্রহের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে দাম বাজারমূল্যের তুলনায় কম হওয়ায় কৃষকের আগ্রহ নেই। গুদামে কৃষক হয়রানির বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। এ ছাড়া শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় নিয়মিত অফিস করা সম্ভব হয় না তাঁর। এতে দাপ্তরিক কাজে সমস্যা হয় না বলে দাবি এ কর্মকর্তার।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com