শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩০ অপরাহ্ন

খিচুড়ি রান্না শিখতে ১ হাজার কর্মকর্তাকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এক হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে খিচুরি রান্না শিখতে বা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণের জন্য তাদেরকে বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পরিকল্পনা কমিশন থেকে এর অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করছে অধিদপ্তর। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিভিন্ন প্রকল্পের অভিজ্ঞতা অর্জনে বিদেশে যাওয়া সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে সরকারি অন্তত এক হাজার কর্মকর্তাকে খিচুরি রান্না শিখতে বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ ফের আলোচনার জন্ম দিয়েছে। জনগণের টাকা খরচ করে এ ধরনের সফরের যৌক্তিকতা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
ডিপিই ও পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, সফরে গিয়ে কর্মকর্তারা এ ধরনের প্রকল্পের জন্য বাজার থেকে কীভাবে দ্রব্যাদি ক্রয় করা হয়, খিচুরি রান্নার নিয়ম এবং তা বিতরণের উপায় সম্পর্কে ধারণা নেবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ডিপিই, পরিকল্পনা কমিশন এবং বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের কর্মকর্তারা পাঁচ বছরের মধ্যে এই সফরের সুযোগ পাবেন।
ওই প্রকল্পের পরিচালক এবং ডিপিই কর্মকর্তা রুহুল আমিন খান বলেন, ‘পাঁচ বছরে এক হাজার কর্মকর্তাকে বিদেশ পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কীভাবে খিচুড়ি রান্না করতে হয় এবং তা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় সে বিষয়ে তারা ধারণা নিতে পারবেন। এই কর্মসূচির আওতায় সারা দেশে শিক্ষার্থীদের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হবে।’ এজন্য বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, ডিপিই প্রাথমিকভাবে বিদেশ যাত্রার জন্য পাঁচ কোটি টাকা চেয়েছে। এছাড়া দেশেই প্রশিক্ষণের জন্য আরো ১০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত এই রান্না করা খাবার বিতরণ কর্মসূচির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা। এর আওতায় পাঁচ বছর ধরে প্রায় এক কোটি ৪৮ লাখ শিক্ষার্থীকে পুষ্টিকর বিস্কুট ও রান্না করা খিচুড়ি দেওয়া হবে। ৫০৯টি উপজেলার শিক্ষার্থীরা এ খাবার পাবে।
তবে পরিকল্পনা কমিশন এই প্রকল্প থেকে বিদেশ যাত্রা বাতিল করার কথা বলেছে। এছাড়া দেশেও এ ধরনের প্রশিক্ষণের বিষয়ে যৌক্তিকতা কী জানতে চেয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ধরনের খাবার বিতরণ নতুন নয়। ডিপিই দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তবে এ বিষয়ে রুহুল আমিন খান বলেন, গত বছরের ভারতের কয়েকটি স্কুল তারা পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কীভাবে খাবার রান্না হয় সে বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেছেন। আরো কর্মকর্তাকে এ ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ দিতে চান বলে তিনি জানিয়েছেন। অবশ্য আগামীতে কোন দেশ তারা ভ্রমণ করবেন সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রকল্প পাস হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে পরিকল্পনা কমিশন প্রকল্পের আরো কিছু অপ্রয়োজনীয় খরচ চিহ্নিত করেছে। সূত্র জানায়, এ প্রকল্পে সামাজিক সংহতির জন্য সাড়ে সাত কোটি ও পরামর্শকের জন্য ছয় কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া আট লাখ টাকা দিয়ে একটি এসি ও দুই কোটি টাকা দিয়ে ফার্নিচার ক্রয়ের বিষয়েও আপত্তি তুলেছে। মিটিং, সেমিনার ও ওয়ার্কশপের জন্য আরো পাঁচ কোটি টাকা চেয়েছে ডিপিই। ওই প্রকল্পের আওতায় ১৭ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা খাবার ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া খাবার সরবরাহের জন্য ১৭ কোটি এবং প্লেট কেনার জন্য ১১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়েছে। এই ব্যয় মূল্যায়ন ছাড়াই কমানো সম্ভব বলে মনে করছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের আওতায় এসইউভি ও ছয়টি মাইক্রোবাস কিনতে সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয় করেত চায় ডিপিই। এছাড়া গাড়ি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেড় কোটি, জ্বালানি তেল ও লুব্রিকেন্টের জন্য ৬০ লাখ এবং যাতায়াতের জন্য ২০ লাখ টাকা চেয়েছে। পরিবহন সংক্রান্ত এই ব্যয়েরও যৌক্তিক ব্যাখ্যা চেয়েছে পরিকল্পনা কমিশন। এর পাশাপাশি পরিদর্শন ও মূল্যায়নের জন্য আরও পাঁচ কোটি টাকা চেয়েছে ডিপিই। এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের প্রধান স্বপন কুমার ঘোষ বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বিদেশ ভ্রমণের কোনো যৌক্তিকতা নেই। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সব ধরনের বিদেশ সফর বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সবকিছু খতিয়ে দেখে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

‘খচুড়ি রান্নার জন্য নয়, মিড ডে মিল বাস্তবায়নে বিদেশে প্রশিক্ষণ: আকরাম-আল-হোসেন

খিচুড়ি রান্না প্রশিক্ষণের জন্য নয়, অন্যান্য দেশ স্কুলে মিড ডে মিল (দুপুরের খাবার) কীভাবে বাস্তবায়ন করে, সেক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জনে বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে মোট প্রকল্পের অতি অল্প অর্থ ব্যয় ধরা হয়েছে। এ অর্থ ব্যয় কোনো অপচয় নয় বরং অভিজ্ঞতা অর্জনে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাটা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আকরাম-আল-হোসেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন জ্যেষ্ঠ সচিব। আকরাম-আল-হোসেন বলেন, এ প্রকল্পের কোনো অর্থ এখনো ছাড়া হয়নি। পরিকল্পনা কমিশন কিছু জিজ্ঞাসা পাঠিয়েছে। তার জবাব পাঠানো হবে। এরপর একনেকে চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।
তিনি বলেন, স্কুল ফিডিং প্রকল্প ১০৪টি উপজেলায় চালু ছিল যা ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে। আগামী বছর থেকে সারাদেশে নির্বাচনী ইস্তেহারমতে সব স্কুলগুলোতে দুপুরের খাবার দেয়া হবে।
‘এটা বাস্তবায়ন সঠিকভাবে করার জন্য ভারতসহ যেসব দেশ মিড ডে মিল চালু করেছে, সেসব দেশ থেকে অভিজ্ঞা অর্জনের জন্য এক হাজার কর্মকর্তার এ প্রশিক্ষণের কম্পোনেন্টা রাখা হয়েছে, যোগ করেন আকরাম-আল-হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) সূত্র জানায়, খিচুড়ি রান্না ও পরিবেশন শিখতে বিদেশ যাচ্ছেন বেশ কিছু কর্মকর্তা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের আওতায় এসব কর্মকর্তারা বিদেশ সফর করবেন বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে স্কুল ফিডিং কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক মো. রুহুল আমিন জানান, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় কীভাবে খিচুড়ি রান্না করা হয়, এর পরিবেশ ও পরিবেশন দেখতে এই প্রকল্পের আওতায় বেশ কিছু কর্মকর্তা বিদেশ সফর করবেন। কবে কতজন বিদেশ সফর করবেন সে বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় স্কুল ফিডিং পলিসি অনুমোদিত হয়েছে। এই পলিসির ভিত্তিতে ১৯ হাজার ২৯৬ কোটি টাকার একটি প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানের প্রকল্পটি ১০৪টি উপজেলায়, যা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে পর্যায়ক্রমে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালু করা হবে। সেই নির্বাচনী ইশতেহারকে সামনে রেখে আমরা ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটা প্রকল্প প্রণয়ন করে দাখিল করেছি।’
এই প্রকল্পে দুটি বিষয় আছে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘বাচ্চাদের আমরা দুপুর বেলা খাবার দেব। খাবারটা হবে দুই ধরনের। তিন দিন বিস্কুট এবং তিন দিন রান্না করা খাবার। বর্তমানে ছয় দিন বিস্কুট দেয়া হয়। রান্না করা খাবারের মধ্যে খিচুড়িটি সবচেয়ে প্রোটিন-সমৃদ্ধ।’ ‘আর যারা এটি বাস্তবায়ন করবেন-আমাদের প্রধান শিক্ষক, কর্মকর্তা যারা মাঠ পর্যায়ে আছেন তাদের সক্ষমতার জন্য প্রত্যেকটা প্রকল্পে দেশে এবং বিদেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখেছি। প্রত্যেক প্রকল্পে এ ধরনের একটা কম্পোনেন্ট থাকে। এই কম্পোনেন্টে আছে যে, এক হাজার কর্মকর্তাকে বিভিন্ন দেশে যে স্কুল ফিডিং চালু আছেৃযেমন আমাদের প্রতিমন্ত্রী এবং আমাদের অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি আমাদের যাওয়ার কথা ছিল কেরালা, দিল্লিতে।’
সচিব বলেন, ‘কীভাবে বিভিন্ন দেশে মিড ডে মিল চালু আছে, কীভাবে তারা ম্যানেজ করছে সেই বিষয়গুলোকে অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য একটা কম্পোনেট আছে, বিদেশে কর্মকর্তারা গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসে।’
তিনি বলেন, ‘খিচুড়ি কীভাবে রান্না করে সেটার জন্য কিন্তু আমরা বিদেশে লোক পাঠাচ্ছি না। এ প্রকল্পটি এখনো অনুমোদন হয়নি। গতকাল পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যের সভাপতিত্বে এটার পিইসি মিটিং ছিল। তারা আমাদের কাছে কিছু কোয়ারি করেছে, সেগুলোর আমরা জবাব দেব। জবাবের পরে যদি তারা সন্তুষ্ট হয় তাহলে একনেকে উপস্থাপিত হবে। একনেকে অনুমোদিত হলে জানুয়ারি থেকে বাস্তবায়ন করতে পারব। সুতরাং, আমরা খিচুড়ি রান্না করার জন্য কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে বিদেশি পাঠাচ্ছি না। আমরা টাকাও চাই না এটার জন্য। কোনো একটা পত্রিকা লিখেছে যে ৫-১০ কোটি টাকা চেয়েছি, নো।’ ‘এটা একটা বিশাল কর্মযজ্ঞ। ৬৫ হাজার ৬২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য মিড ডে মিল চালু করতে হবে। কীভাবে ম্যানেজ করব, সেই ম্যানেজমেন্ট দেখার জন্য আসলে যে সমস্ত উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশে এই ব্যবস্থা চালু আছে, সেই ব্যবস্থা দেখার জন্য এবং দেশে-বিদেশে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য কম্পোনেন্ট রেখেছি সক্ষমতা অর্জনের জন্য। খিচুড়ি রান্না করার জন্য আমরা কোন কর্মকর্কতা বা আমরা বিদেশে যাচ্ছি না’, যোগ করেন আকরাম-আল-হোসেন।
‘যারা চালু করেছে তাদের নিয়ে এসে প্রশিক্ষণ করা যাচ্ছে না কেন’-এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘যে সমস্ত দেশ চালু করেছে সেখানে অভিজ্ঞতাটা দেখার থাকে। এটা তো একদিনে হয়নি। তারা অনেক দিন ভুল-ভ্রান্তি সংশোধন করে কীভাবে পারফেক্টলি কাজ করছে, সেই অভিজ্ঞতা অর্জনের একটা প্রস্তাব। এটা পরিকল্পনা কমিশন এবং একনেক অনুমোদন না করলে থাকবে না।’ ’ভারত নিশ্চয় কোনো দেশকে ফলো করেছে, তাই না? মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কোনো কোনো দেশকে তো আমরা ফলো করি।’
‘এজন্য এত সংখ্যক কর্মকর্তা বিদেশ যাওয়ার কি দরকার আছে’-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এক হাজার কর্মকর্তাকে কেন? আমাদের তো কত হাজার কর্মকর্তাৃ৫০৯টি থানা থেকে একজন করে গেলেও তো ৫০৯ জন হয়, তাই না?’
‘কাজগুলো ফিল্ড লেবেলের কর্মকর্তারা বাস্তবায়ন করবেন। পিডিপি-৪-এ প্রত্যেক ব্যাচে ২০-২৫ জন করে পাঠাই। তারা সরেজমিনে গিয়ে যেটা দেখে এসে ইমপ্লিমেন্ট করবে, কীভাবে তারা স্কুল পর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে। সেটার একটা ইমপ্যাক্ট হবে। একটা ভিডিও বা হ্যান্ডআউট ধরায় দেব, সেটা থেকে সরেজমিনে দেখার আসার অনেক বিষয় আছে। শুধু প্রাথমিকের না, সব মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পে বিদেশে প্রশিক্ষণগুলো দেখে আসার কম্পোনেন্ট আছে।’
সচিব বলেন, ‘যেখানে রান্না করা খাবার দিচ্ছি সেখানে ঝরে পড়ার হার একদম কমে গেছে, ৩ শতাংশের নিচে চলে এসেছে। বাচ্চাদের পুষ্টির পরিমাণ বেড়েছে, ভর্তির হার বেড়েছে। উপস্থিতির হার বেড়েছে।’ ‘এত সংখ্যক কর্মকর্তার বিদেশে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়াটা অপচয় কি-না’-জানতে চাইলে সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, ‘মিড ডে মিল চালু করার ক্ষেত্রে আমাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের থাকার কথা, সেটা নেই। এটা একটু নতুন সিস্টেম। ভারতে যেখানে চালু আছে সেখানে কিচেন করা আছে, হাইজেন আছে। সেই জায়গাগুলো অর্জন করার জন্য প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। সেই কারণে আমি মনে করছি যে, এটা কোনো অপচয় নয়, এটা বরং আমাদের সক্ষমতা, দক্ষতা, ইফিসিয়েন্সিকে বৃদ্ধি করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের একটি প্রভিশন আছে যে, কোনো প্রকল্পে এসট্যাবলিশমেন্ট কস্ট, ফরেন ট্রেনিং, অভ্যন্তরীণ ট্রেনিং কোনোভাবেই ৮ শতাংশের ওপরে হবে না। প্রশিক্ষণের জন্য মোট প্রকল্প ব্যয়ের ০.২ শতাংশ। দারিদ্র্যপীড়িত ১০৪টি উপজেলায় স্কুল ফিডিং পাইলট প্রকল্প, সেখানে আমরা বিস্কিুট দিচ্ছি। ১৬টি উপজেলায় রান্না করা খাবার চালু আছে।’




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com