পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডেরেক শোলে
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে উভয়ের জন্য একই ধরনের চ্যালেঞ্জ যেমন রয়েছে, তেমনই সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্সিলর ডেরেক শোলে। তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক বাড়ছে।’
গতকাল বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনার পরে ডেরেক শোলে বলেন, ‘অনেক মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশে সফর করেছেন এবং আমি এখন এসেছি এটি বার্তা দেয় যে, আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক রাজনৈতিক, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাড়ছে। ডেরেক শোলে মঙ্গলবার ঢাকায় পৌঁছান এবং বুধবার সকালে একটি হোটেলে পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সঙ্গে দেখা করার আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেরেক শোলে।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা সম্পর্ককে আরও উচ্চতর পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশে ১০০টি নতুন বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অ ল হচ্ছে এবং সেখানে তারা বিনিয়োগ করলে খুশি হবো।’ রোহিঙ্গা নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম দিন থেকে তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সাহায্য করে যাচ্ছে। তারা একমাত্র দেশ, যারা এটি অব্যাহত রেখেছে এবং সবচেয়ে বড় দাতা। তারা আমাদের সঙ্গে একমত যে, রোহিঙ্গাদের জীবন-যাপনের পরিবর্তন করতে হবে। তাদের আশা জাগিয়ে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে আছে।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়ায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমি সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছি।’ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলের নেতৃত্বে একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তাঁর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পীচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিলে তাঁর দল দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করবে। তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাই না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সবসময় জনগণের খাদ্য ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো সংসদে ইসির পুনর্গঠন আইন পাস হয় এবং তারপর সেই আইনের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, ইসি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন এবং এর প্রশাসনিক ও আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।