রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের আপত্তিকার ভিডিও প্রকাশের ঘটনার জেরে তাকে রাজনৈতিক দ্বায়িত্ব থেকে অপসারনের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল নগরীর জিরোপয়েন্টে ‘সচেতন রাজশাহীবাসীর’ ব্যানারে এ মানববন্ধ করা হয়। তবে মানববন্ধন চলাকালীন সময়ে কিছু ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধনের বাধা দেয় ও ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এসময় মানববন্ধনকারীদের সাথে তাদের ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনাও ঘটে। পরে সেখানে উপস্থিত বোয়ালিয়া থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে করা মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিল, ডাবলু সরকারের নোংরা ভিডিও রাজনীতিতে অশনি সংকেত ও সমাজের জন্য বিপদজ্জনক। অবিলম্বে ডাবলু সরকারকে রাজনীতি থেকে অপসরণ করতে হবে। প্রত্যক্ষদশীরা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিছু ব্যক্তি সচেতন রাজশাহীবাসীর ব্যানারে নগরীর জিরোপয়েন্টে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ জড়ো হয়। এরপর তারা ব্যানার বের করে দাঁড়িয়ে যান মানববন্ধনে। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর পর বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ডাবলু সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। প্রায় ১৫ মিনিট পর বক্তব্য চলার সময় কিছু লোকজন সেখানে উপস্থিত হয় এবং তারা মানববন্ধন করতে নিষেধ করেন। নিষেধে কর্নপাত না করে তারা মানববন্ধন চালিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কা-ধাক্কি। পরে তাদের মানববন্ধনের ব্যানার ছিনিয়ে নেয়া হয়। তবে মানববন্ধনের উপস্থিত লোকজনের দাবি, যারা মানববন্ধন করতে বাধা দিয়েছে তারা সবাই ডাবলু সরকারের লোকজন। ডাবলু সরকারের লোকজন হঠাৎ করেই সেখানে উপস্থিত হয়ে মানববন্ধন করতে নিষেধ করেন। তারা নিষেধ উপেক্ষা করে মানববন্ধন চালিয়ে গেলে তাদেও উপর হামলা চালানো হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার সাথে তাদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।এ বিষয়ে জানতে চাইলে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, মানববন্ধনে তেমন কিছু হয়নি। থানা পুলিশ সেখানে মোতায়েন ছিল। সামান্য বাকবিতন্ডা শুরু হলে পুলিশ দুপক্ষকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি ডাবলু সরকারের একটি ৩ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণেই রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।