আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল আলা মুহাম্মদ হোছামুদ্দিন বলেন, মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী মানতে পারেনা, তারা কখনো মুসলিম দাবী করতে পারেনা। কারণ খতমে নবুয়াত ইমানের মৌলীক অংশ হচ্ছে, তাওহীদ রিসালত পরকাল ইত্যাদির মত খতমে নবুয়াতকেও পরিপূর্ণ বিশ্বাস করতে হবে এবং মানতে হবে। কাদিয়ানি সম্প্রদায় তারা নিজেকেই আহমদীয় মুসলিম জামায়াত হিসেবে প্রচার করে সাধারণ মুসলিম জনতাকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের প্রতি সকল মুসলিমকে স্বজাগ থাকার আহ্বান জানান। গোলাম আহমদীয় কাদিয়ানী একজন ভন্ড কাফের। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের অধিকাংশ ওলামায়েকেরাম তাদের অমুসলিম ঘোষণা করার জন্য জোর দাবী তুলেছে। ০৫ মার্চ (শনিবার) চট্টগ্রাম লোহাগাড়ায় আধুনগরে রশিদেরঘোনা মসজিদ পাঠাগার ও মাওলানা শফিক আহমদ ফাউন্ডেশনের আয়োজনের ১৯ তম বার্ষিক সিরাতুন্নবী (সা:) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সকালে খতমে কোরআন, খতবে বুখারী, খতবে খাজেখান, সূরা আনাম আদায় এবং দেশ ও জাতির জন্য বিশেষ মোনাজাত করেন চুনতি হাকিমিয়া কামিল অনার্স-মাস্টার্স মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ আলহাজ্ব হাফিজুল হক নিজামী মাওলানা জিয়াউল করিমের অনুষ্ঠান পরিচালনায় অধিবেশ অনুসারে সভাপতিত্ব করেন, লোহাগাড়া উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাওলানা নুরুল আবছার ও মাওলানা ছরওয়ার কামাল, সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লোহাগাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হক চৌধুরী বাবুল, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব এরফানুল করিম চৌধুরী, দৈনিক সময়ের কাগজের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সম্পাদক কলামিস্ট আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ রানা। ওয়ায়েজ হিসেবে আলোচনা পেশ করেন, চকরিয়া শাহারবিল ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাওলানা শফিউল হক জিহাদী, চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা নেজাম উদ্দীন, সাতকানিয়ার আজিজুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মারুফ, মাওলনা জাফর সাদেক ইকবাল। মাহফিলে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন, হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ সাইখুল হাদিস, আলহাজ্ব মাওলানা হাফেজ শাহে আলম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লোহাগাড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোহাম্মদ শাহ জাহান, উপজেলা মানবাধিকার কমিশনের অধ্যাপক হামিদুর রহমান, পীর সাহেব কেবলা শাহ মাওলানা নাছেরুল হক চিশতী, ফাউন্ডেশন ও পাঠাগারের পরিচালক শাহেদুল আনোয়ার সাদ সহ-পরিচালক ব্যাংকার আবু সায়েদ ও ইঞ্জি. মামুন উদ্দীন প্রমুখ। সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন রশিদি ও মাহফিলের আহ্বায়ক হোছাইন কবিরের সার্বিক তত্বাবধায়নে মাহফিল সার্বিক পরিচালনায় ছিলেন সংগঠনের সভাপতি শাহাব উদ্দীন, সদস্য সচিব আকিব, উপদেষ্টা সাজ্জাদ, মিজান বিন ইসলাম, মোহাম্মদ শফি ও ফুয়াদ আবরার প্রমুখ। ৪ মার্চ ‘২৩ অত্র এলাকার মসজিদ মাঠে উক্ত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশানের চেয়ারম্যান ও দৈনিক দেশের কণ্ঠ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো চীফ অধ্যাপক ড.আবুল আলা মুহাম্মাদ হোছামুদ্দিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, যারা মহানবী হযরত মুহাম্মদকে(সা:) কে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবি হিসেবে মানতে পারে না তারা কখনো মুসলমান দাবী করতে পারে না। কারণ খতমে নুবুওয়াত ইমানের মৌলিক অংশ। তাওহিদ, রিসালত, পরকাল ইত্যাদির মতো খতমে নুবুওয়াতকেও পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে হবে এবং মানতে হবে। কাদিয়ানী সম্প্রদায় বাহ্যত তাদেরকে আহমাদিয়া মুসলিম জামাত হিসেবে প্রচার করে সাধারণ মুসলমানদের বিভ্রান্তিতে ফেলছে এটাই ঘরের শত্রু বিভীষণের মতো। অথচ তারা গোলাম আহমদ কাদিয়ানীকে নবি দাবী করে যা খতমে নুবুওয়াতকে সরাসরি অস্বীকার করে। গোলাম আহমদ কাদিয়ানী একজন ভন্ড, প্রতারক ও কাফের। উক্ত মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে আলোচনা করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাসসিরে কুরআন ড. মৌলানা লুৎফর রহমান। মাওলানা আবদুল্লাহ আল মারুফ, মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা শাহ আলম, অধ্যক্ষ মাওলানা হাফিজুল হক নিজামি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হামিদুর রহমান, দৈনিক সময়ের কাগজ চট্টগ্রাম ব্যুরো চীপ। মাহফিল পরিচালায় ছিলেন সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন রশিদী।