নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার জানিয়েছেন, নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক প্রতিনিধিদের সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
গতকাল রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সঙ্গে নাগরিক সমাজ, বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা সংলাপ করেন। সংলাপ শেষে সংস্কার কমিশনের প্রধান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সংলাপে না ভোটের বিধান রাখার ব্যাপারে সবাই একমত ছিলেন বলেও জানান বদিউল আলম মজুমদার। তিনি বলেন, আগের নির্বাচন কমিশন যে বিতর্কিত, কলঙ্কজনক ও পাতানো নির্বাচন করেছে, তার মাধ্যমে তারা শপথ ভঙ্গ করেছে, সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। তাদের বিচারের আওতায় আনার কথা প্রায় সবাই বলেছেন। রাজনৈতিক দলের মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, তা আশা করা দূরাশা বলে মনে করেন সংস্কার কমিশনের প্রধান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে হবে। কমিশনকে আর্থিক স্বাধীনতাও দিতে হবে। এমন শক্তিশালী ও স্বাধীন হতে হবে যে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের অধীন একটা সরকার হতে হবে। জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সরাসরি আসন থাকতে হবে এবং প্রত্যক্ষ নির্বাচন হতে হবে বলেও উল্লেখ করেন বদিউল আলম মজুমদার।
তিনি বলেন, আমরা যে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতির কথা বলেছি, তা-ও হতে পারে, অন্য পদ্ধতিও হতে পারে।
সংলাপে নির্বাচন কমিশনের আইন পরিবর্তন করা, পিআর সিস্টেমসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান সংস্কার কমিশনের প্রধান।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রসঙ্গে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সরাসরি
নির্বাচনের কথা অনেকে বলেছেন। রাষ্ট্রপতির পদকে আরও শক্তিশালী করার কথা বলেছেন।