কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় পরিচয়হীন(৫০) এক বৃদ্ধা নারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এগিয়ে আসেনি স্থানীয় কোন জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের কনো কর্মকর্তা। উন্নত চিকিৎসা নেওয়া জরুরি। বড়ধরনে ক্ষতির সম্ভাবনা। ৬ মার্চ সোমবার রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিনে গিয়ে এসব চিত্র পাওয়া যায়। স্থানীয় ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী সকালের দিকে বৃদ্ধা নারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কর্তিমারী বাজার সংলগ্ন এলাকায় ডিসিসড়ক দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় উল্টোপথে আসা একটি অটোভ্যান তাকে ধাক্কা দিলে পাঁকায় পড়ে বাম পায়ের হাটুর নিচে ভেঙ্গে চুর্ণবিচুর্ণ হয়। এ সময় অটো চালক সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার প্রাথমিক চিকিৎসা চলমান রয়েছে। সার্বক্ষণিক চিকিৎসক ও নার্স তার খোঁজখবর রাখছেন। আজ ৮দিন অতিবাহিত হলেও তার উন্নত চিকিৎসার কথা ভাবছে না কেউ। অপরদিকে ভাঙ্গা পা নিয়ে যন্ত্রনায় দিনরাত চিৎকার করলেও উন্নত চিকিৎসার সুব্যবস্থার মানবতার সহায়তায় কারোও নেই কোন উদ্যোগ। অপরিচিতা বৃদ্ধা নারীর কথা বুঝা যায় না এবং তার কোন ঠিকানাও বলতে পারে না। উপজেলা স্বাস্থ ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ অপরিচিতা বৃদ্ধাকে আমাদের তত্ব্যাবধায়নে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় সকল ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। রোগীর উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। এজন্য উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তারা। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, আমি শুনেছি। দেখার সময় হয়নি। তবে এ ধরনের রোগীর জন্য সমাজসেবা অফিসের মাধ্যমে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম সারোয়ার রাব্বী (ভার:) সাথে সরকারি ফোন নম্বরে একাধীক বার কল করলেও রিসিভ হয়নি।