ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত মোয়াজ্জেম ম-লের ছেলে সামাউল ইসলামের বসতবাড়িতে অবস্থিত গোয়াল ঘরে আগুন লেগে ৩টি গরু পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে মারা গেছে। এর মধ্যে ১ টি বড় ষাড় গরু, ১টি গর্ভবতী গাভী এবং ১ টি বাছুর। ঐ আগুনে সামাউলের আপন ভাই খাইরুল ইসলামের গোয়ালে আগুন লাগলেও প্রাণে রক্ষা পায় গোয়ালে থাকা ২ টি বকনা বাছুর ও ৬ টা ছাগল। কিন্তু গরুর বাছুর দু’টির গায়ে আগুন লাগে মারাত্মকভাবে আহত হয় এবং এই পশুগুলোকে বাচাতে গিয়ে খাইরুল ইসলামের শরীরেও আগুন লাগে। ৭ মার্চ দিবাগত রাতে বালিয়াডাংগা গ্রামের মন্ডল পাড়ার সামাউল ও খাইরুলের গোয়াল ঘরে এই অগ্নিকা-ের ঘটনাটি ঘটে। সকালবেলা খামারি সামাউল ও খাইরুলের বাড়িতে পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, জনপ্রতিনিধিসহ অনেকের উপস্থিতি লক্ষ করা গেলেও সেখানে যাননি কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কোনো ডাক্তার। ভুক্তভোগী খামারির পরিবার থেকে কালীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ অফিসে খবর দেওয়া হলে সেখান থেকে শহিদুল ইসলাম নামে একজন এসে আহত গরু দুটি প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। তিনি ভুক্তভোগী খামারিকে সার্বিক সহোযোগিতার আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া বাবদ তার নিকট থেকে ১ হাজার টাকা নিয়ে যান। ভুক্তভোগী খামারী সামাউল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,আমাদের গরুগুলোর এই অবস্থাকে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোটেও গুরুত্ব দেননি।একজন প্রাণী চিকিৎসকও তিনি এখন অব্দি আমার বাড়িতে পাঠাতে পারেন নি। যিনি এসেছিলেন তিনি তো আর ডাক্তার না। আমাদের গরু মরলো কি বাচলো, তাতে তাদের কি যায় আসে। কালীগঞ্জ প্রাণীসম্পদ অফিসের ড্রেসার শহিদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান,প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার নির্দেশে আমি আগুনে পোড়া গরুর চিকিৎসা দিতে যাই।তাদের অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বললেও তারা আর যোগাযোগ না করায় বর্তমানে পোড়াগরু গুলোর কি অবস্থা তা আমি বলতে পারব না। চিকিৎসা বাবদ কোন অর্থ আমি খামারি থেকে নেই নি। আমার সাথে থাকা পল্লী পশু চিকিৎসক নিলেও নিতে পারেন। কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল করিম জানান, গোয়াল ঘরে আগুন লাগার ঘটনা শুনে শহিদুল ইসলাম নামে একজনকে পাঠিয়েছিলাম।উনি পশুচিকিৎসক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অফিসে উনি চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে এই জন্য উনাকে পাঠিয়েছিলাম। উল্লেখ্য, প্রাথমিকভাবে গরুর মালিক ধারনা করছে বিদ্যুৎ শর্ট- সার্কিট থেকে গোয়াল ঘরে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।আহত গরু দুইটির মালিক খাইরুল ইসলামও আগুনে পুড়ে আহত হন। বর্তমানে তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।