বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেছেন, বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য উনাদের এত দরদী হওয়ার দরকার নেই, আমরা তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই। নিঃস্বার্থ মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বিদেশে চিকিৎসা করাবেন, নাকি দেশে চিকিৎসা করাবেন, ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নেবেন, নাকি ফকিরের কাছে চিকিৎসা নেবেন সেটা তার একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। তারা যে ধরনের কথা বলছে তাতে জনগণের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (এম-ট্যাব) ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ গণতন্ত্র অনুপস্থিত। যে গণতন্ত্রের চিন্তা, স্বপ্ন এবং চেতনা নিয়ে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। কিন্তু সত্যিকার অর্থে আমরা এখনো স্বাধীনতা পাইনি। কর্তৃত্ববাদী এবং ক্ষমতা লোভীদের কারণে কখনোই সুষ্ঠু গণতন্ত্র আমরা পাই না। দীর্ঘ ১৪ বছর যাবত এমনিতেই ফ্যাসিবাদী সরকার যারা ভোটে তোয়াক্কা করে না, জনগণের অধিকারে তোয়াক্কা করে না, যারা ক্ষমতায় এসে লুটপাটের মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতি শূন্যের কোঠায় নিয়ে গেছে। একদিকে লুটপাট, অন্যদিকে মুদ্রা পাচার। এ কারণে আজকে রাষ্ট্রের কোষাগার অনেকটাই শূন্য।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, একটি ভোটার বিহীন সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। সে কারণে আমরা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে নেমেছি। নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হলে বর্তমান যারা ভোটে বিশ্বাস করে না, জনগণের অধিকারে বিশ্বাস করে না, তাদেরকে ক্ষমতায় রেখে সম্ভব নয়। সে কারণে তাদের ক্ষমতা থেকে পদত্যাগ করা এবং সংসদ বিলুপ্ত করা। এরপর নিরপেক্ষ সরকার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। তারা একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করবে সে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে জনগণ ভোট দেয়ার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে। গয়েশ্বর বলেন, সরকারের যে চরিত্র তারা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা থাকতেও চায় না, আসতেও চায় না। তাই জনগণের নীতি কথা তাদের কানে যায় না। সে কারণে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে এবং হবে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্রের উত্তরণ ঘটাবো, এটাই আমাদের বিশ্বাস।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ডাক্তার ফরহাদ হালিম ডোনার, সভাপতি একেএম মুসা লিটন, এম-ট্যাবের মহাসচিব বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব প্রমুখ।