দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের খয়েরপুকুরহাটে আনন্দ মেলার নামে চলছে বিচিত্রা অনুষ্ঠানে অশ্লীল নৃত্য ও জমজমাট জুয়ার আসর। এতে করে এলাকায় বেড়ে গেছে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি সহ নানা রকম অপরাধ মুলক কর্মকান্ড। এদিকে আনন্দ মেলা বন্ধের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেও সচেতন মহল কোন ফল পাচ্ছেনা। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের আকরাম আলী মেম্বার পার্বতীপুর পৌরসভার মেয়রের নাম ভাঙ্গিয়ে গত এক সপ্তাহ ধরে খয়েরপুকুরহাটে একটি আনন্দ মেলার আয়োজন করেছেন। সেখানে মেলায় আনন্দ বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগোরদোলা, মৃত্যুকুপে মোটরসাইকেল চালানো ও সোনার বাংলা সার্কাস খেলার নামে একটি বিশাল প্যান্ডেল। ওই প্যান্ডেলের ভিতর দিনব্যাপী সার্কাস খেলা দেখানো হলেও সন্ধ্যা ঘনিয়ে আমার সাথে সাথে খেলা ধুলার পাশাপাশি বিচিত্রা অনুষ্ঠানে নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য (ন্যাকেট ড্যান্স)। এতে করে উঠতি বয়সী যুবকেরা হুমড়ী খেয়ে ছুটছে মেলা অভিমুখে। এছাড়াও মেলার আশেপাশে আকরাম বাহিনীর লোকজন রাতের আঁধারে ফর্টগুটি জুয়ার আসর বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এই টাকার ভাগ চলে যাচ্ছে পার্বতীপুর মডেল থানা ও মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তার পকেটে। এমনকি সংশ্লিষ্ট হরিরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ এবং পার্বতীপুরের কিছু নেতা এই জুয়ার টাকার ভাগ নিচ্ছেন মর্মে মেলার আয়োজক আকরাম আলী মেম্বার দাম্ভিকতার সহিত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে কথাগুলো বলেন। এবিষয়ে গত শুক্রবার খয়েরপুকুরহাটের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সাবেক সেনা সদস্য সাজেদুর রহমান ওরফে শাহ আলম সাংবাদিকদের বলেন, হরিরামপুর ইউনিয়নের বিএনপির ক্যাডার মাহফুজুল চৌধুরী এবং এলাকার ত্রাস, ভুমিদস্যু, নারী লোভী আকরাম আলী মেম্বার পার্বতীপুর পৌরসভার মেয়রের নাম ভাঙ্গিয়ে সেখানে একটি আনন্দ মেলার আয়োজন করেছেন। তারা মেলার আকর্ষণ বাড়াতে মেলায় অশ্লীল নৃত্য সহ মেলার আশেপাশে বসানো হয়েছে জুয়ার আসর। আমি এই আনন্দ মেলা বন্ধের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাইনি। শুধু ৯৯৯নম্বরে ফোন করে লটারী খেলাটি বন্ধ করতে সক্ষম হয়েছি। তিনি আরো বলেন, খয়েরপুকুরহাটে আনন্দ মেলা চলাকালে তার আশেপাশে চুরি, ডাকাতি ও রাহাজানি বেড়ে গেছে। প্রতিদিন রাতে পার্বতীপুর মডেল থানার পুলিশ ও মধ্যপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা লোক দেখানোর জন্য মেলায় এসে টহল দিয়ে তাদের প্রাপ্য বুঝে নিয়ে চলে যায়। শুনেছি ইউপি চেয়ারম্যান ও পার্বতীপুরের নেতারাও এই জুয়ার টাকার ভাগ নেন।