ময়মনসিংহের ভালুকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নির্মানাধিন প্রজেক্টে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় হামলায় চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ মার্চ রাতে উপজেলার কাচিনা গ্রামে। এ ঘটনায় মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। থানায় দেয়া অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিনা গ্রামে প্রায় এক বছর ধরে জমি ক্রয় করে জেএমএস ইউনিক এ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও জেএমএস ক্লোথিং লিমিটেড নামে কোম্পানীর মাটি ভরাট ও অবকাঠামো কাজ চলে আসছিলো। আধিপত্য বিস্তার ও বিভিন্ন অনৈতিক সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে স্থানীয় শফিজ উদ্দিনের ছেলে আবুল হোসেনের সাথে কোম্পানীর বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের হিসেবে গত ৯ মার্চ রাতে আবুল হোসেনের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের একটি দল দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ফ্যাক্টরীর ভেতর হামলা চালায়। এ সময় প্রজেক্টের গেইট, প্রাচীর ও অফিসের গেইট ভাঙচুর করে। বাঁধা দিলে গেলে প্রজেক্ট সমন্বয়কারী আক্তার হোসেন, রাজমেস্ত্রীর ঠিকাদার সাইদুল ইসলাম, সিকিউরিটি গার্ড আব্দুল রহিম ও সফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। আহতদের ভালুকা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে হামলাকারীরা প্রজেক্টের ভেতর লোকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৫ টি কম্পিউটার, দুই টন রড, ৫০ ব্যাগ সিমেন্ট, একটি নফ্রিজ, ১০ টি দামি চেয়ার, ৩৬ টি ইউ পিভিসি পাইপ, বেশ ৫ টি বাটন মোবইল, নগদ এক লাখ টাকা ও অন্যান্য জিনিসপত্রসহ প্রায় ১৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকার মালামাল লুট করে ট্রাকে করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় প্রজেক্ট সমন্বয়কারী আক্তার হোসেন বাদি হয়ে আবুল হোসেন, মজনু মন্ডল, আল আমীন, হাবু মন্ডল, দিপু ও রনি মন্ডলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০/৬০ জনের নামে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত আবুল হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে তার স্ত্রী রিসিভ করে জানান, মোবাইলটি বাড়িতে রেখে তার স্বামী কোথায় গেছেন বলতে পারছেন না। ভালুকা মডেল থানার পরির্দশক (ওসি) মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, তিনি ছুটিতে আছেন, অভিযোগের বিষয়টি থানায় গিয়ে জানাতে পারবেন।