গ্রীষ্মকোল আসতেই ঘরে ঘরে এসি চালানো শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকে ঘরের পুরোনো এসি মেরামত করে চালাচ্ছেন, আবার কেউ কেই নতুন এসি কেনার পরিকল্পনাও শুরু করেছেন।
যদি আপনার ঘরে এরই মধ্যেই এসি থাকে, তাহলে অবশ্যই এর বৈশিষ্ট্যগুলো সম্পর্কে আপনার কমবেশি ধারণা আছে। আর যারা নতুন এসি কেনার পরিকল্পনা করছেন তাদের অবশ্যই এসির বিষয়ে টুকটাক ধারণা রাখতে হবে।
আসলে এসিতে অনেক ধরনের ফিচার থাকে, যা নিজ প্রয়োজনে না জানলে অনেক সময় দোকনদার আপনাকে জানাতে ভুলেও যেতে পারেন। পরবর্তী সময়ে এসি কেনার পর তা ব্যবহার শুরু করলে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।
তাই এসি কেনার আগে সেটিতে ৪ ফিচার আছে কি না তা অবশ্যই জেনে নিতে হবে। তাহলে আপনার এসি টেকসই হবে ও দুর্ঘনার ঝুঁকিও কমবে।
ডাস্ট ফিল্টার: ডাস্ট ফিল্টার যে কোনো এসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ধুলাবালি, ধোঁয়া, ময়লার মতো ময়লাকে এসির ভেতরে যেতে বাধা দেয়।
ডাস্ট ফিল্টার এসিতে তাজা বাতাস পাঠাতে সাহায্য করে ও এটি এসিকে দ্রুত রুম ঠান্ডা করার ক্ষমতা জোগায়। তাই এসি কেনার সেময় সেটিতে ডাস্ট ফিল্টার আছে কি না তা জেনে নিন।
ইনভার্টার প্রযুক্তি: বাজারে ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার উভয় ধরনের এসি পাওয়া যায়। ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি কম বিদ্যুৎ খরচ করে, যার কারণে বিদ্যুৎ বিল বেশি আসে না।
যারা বেশি বিদ্যুৎ বিলের ভয়ে এসি ব্যবহার করেন না, তাদের জন্য সেরা হলো ইনভার্টার প্রযুক্তি সম্পন্ন এসি। এই প্রযুক্ত থাকলে এসি মোটর পুরোপুরি বন্ধ হয় না, যা এটিকে আবার চালু করার ঝামেলা দূর করে ও বিদ্যুৎ খরচ কম করে।
রিমোট কন্ট্রোল: এখন আপনি ভাবতে পারেন, প্রতিটি এসিতেই তো রিমোট থাকে। তাহলে এটি সম্পর্কে আবার কী জানার আছে? আসলে প্রতিটি এসির রিমোটেরও আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে।
এসি চলাকালীন সব সময় রিমোটের চেক করা উচিত। এতে স্লিপ মোডের বিকল্প আছে কি না। এটি এমন একটি বৈশিষ্ট্য যা ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা বাড়ায়। এই মোড রাতে ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী তাপমাত্রা সেট করে।
ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টার: অনেক ব্র্যান্ড তাদের এসিতে ব্যাকটেরিয়াল ফিল্টারও অফার করে। এটি আমাদের দূষিত বাতাস ও নোংরা ব্যাকটেরিয়া পেতে বাধা দেয়, যা আমাদের রুমের বাতাসে অসুস্থ করে তোলে।
এসি কেনার আগে সেটিতে এই সুবিধা আছে কি না তা জেনে নিতে পারেন। এসব ফিচার আছে এমন এসি কিনলে আপনি ঠকবেন না। সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮