মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইউনিয়নের টেঙ্গারচর বড়ইকান্দি ভাটেরচর রাস্তায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। হালকা বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি ও কাদা জমে থাকে। বড়ইকান্দী ভাটেরচর গ্রামে প্রায় ৫ হাজার’ লোকের বসবাস। প্রতিদিন স্কুল কলেজও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থরা, কর্মজীবী নারী পুরুষ জরুরী ও গুরুত্বপূর্ণ কাজে গ্রামের শুধুমাত্র এই রাস্তায় আশা-যাওয়া করতে হয়। রাস্তার বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার পোহাতে হয়। একটু বৃষ্টি ফলে রাস্তায় হাটুপানি জমে থাকে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা সরজমিন দেখা যায়, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় যেন এলাকার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। পুরো এলাকার রাস্তায় জমে থাকে প্রচুর ময়লা পানি। ড্রেনেজ না থাকায় এসব বর্জ্য পানি জমে থাকছে রাস্তার উপরে। জলাবদ্ধতায় রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচলে গাড়ি নষ্টসহ নানা বিড়ম্বনায় পরতে হয় যাত্রী ও চালকদের। স্থানীয়দের দাবি অতি দ্রুত গ্রামের একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার ও ড্রেনেজ করে চলাচলে উপযোগী করা। অটোরিকশার চালকসহ এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সময়ে রাস্তার এই খানা-খন্দকে ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত ও ড্রেনেজ প্রত্যাশা সিএনজি চালক জসিম উদ্দিন তোতা বলেন, রাস্তার এ বেহাল দশার ও সামন্য বৃষ্টি কারণে এখন অনেকেই এ পথে চলাচলের সময়ে আতংকের মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এছাড়াও রাস্তাটি দিয়ে ভাটেরচর বাজারে, ভাটেরচর দে এ মান্নান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও বড়ইকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল ও ভাটেরচর মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থী যাতয়াত করে। কিন্তু সামন্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটিতে জলাবদ্ধ বৃষ্টির পানিতে থাকার কারণে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে না শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় পার হলেও গ্রামীণ এই অবহেলিত মরণফাঁদ রাস্তায়। মোটরসাইকেল চালক আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দিনের বেলায় কোনরকম চলাচল করলেও রাতে বেলা সম্ভব না। টেংগারচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব বোরহান উদ্দিন দেওয়ান বলেন, আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। রাস্তাটির বেহালদশা গত কয়েক মাস ধরে আর বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে। অতি দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না হলে এখানে বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটারও সম্ভাবনা রয়েছে। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে দ্রুত রাস্তাটি মেরামতও ড্রেনেজ করা প্রয়োজন। টেঙ্গারচর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসান ফরাজি জানান এলাকার গণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে একাধিকবার উপজেলা আইন শৃংখলা সভা এবং উন্নয়ন সভায় রাস্তা সংস্কার ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা চাহিদা দেওয়া হয়েছে। মেরামত বরাদ্দ না থাকায় সংস্কার ও ড্রেনেজ কাজ হচ্ছে না। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এলজিইডির গজারিয়া উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ইশতিয়াক আহমেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কয়েক হাজার মানুষ এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে এ অর্থবছরে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।