জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউপির ধাতুরপহেলা গ্রামের কৃষক মুস্তাকিম সরকার। মৌসুম অনুযায়ী সারা বছরই তিনি বাণিজ্যিকভাবে পতিত জমিতে টমেটো, শসা, ক্যাপসিকাম বেগুন, তরমুজ, সাম্মামসহ নানা ধরনরে ফল ও সবজি আবাদ করছেন।
প্রথম বারের মতো এই মৌসুমে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার না করে শুধু জৈব সার প্রয়োগে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বাজিমাত করেছেন তিনি। তার ১০বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪০ টনের ওপর। এরমধ্যে তার জমির মিষ্টি কুমড়া কাটা শেষ হয়েছে। এবার উচ্চফলনশীল জাতের মিষ্টি কুমড়া চাষে সফলতা পেয়েছেন তিনি। একটি টিন শেড ঘরের মধ্যে স্তুপ করে রাখা আছে ছোট-বড় মিষ্টি কুমড়া। যার পরিমাণ হলো ৪০ টনেরও বেশি। এক একটি মিষ্টি কুমড়া ২-৫ কেজির ওপর রয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিক্রি হলেও এখন চলছে পাইকারিতে বিক্রির প্রক্রিয়া।
কৃষক মুস্তাকিম সরকার জানান, এই মৌসুমে তিনি উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড জাতের মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করেন। জমি প্রস্তুত, ইজারা, বীজ, রোপণ আর পরিচর্যাসহ বিঘা প্রতি তার খরচ হয়েছে ১৩ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ১০ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া আবাদে মোট ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়। জমি আবাদের মাত্র তিন মাসের মাথায় ওই জমিতে মিষ্টি কুমড়ার ফলন আসে। এর মধ্যে ওই জমি থেকে ফলন হওয়া মিষ্টি কুমড়া তুলে বাড়িতে রাখা হয়েছে। জমিতে তার ফলন হয়েছে ৪০ টনের ওপর। প্রতি টন মিষ্টি কুমড়া ২০-২২ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করছেন। তিনি একজন সফল চাষি হিসেবে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন। সবজি ও ফল চাষে বছরে তার বছরে আয় হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এই ব্যাপারে উপজলো কৃষি র্কমর্কতা শাহানা বেগম জানান, কৃষক মুস্তাকিম সরকার একজন আদর্শ কৃষক। তিনি বছর জুড়ে নানা প্রকারের সবজি ও ফল চাষ করছেন। প্রথমবারের মতো মিষ্টি কুমড়া চাষে তিনি চমক সৃষ্টি করেন।