রাজধানীর বেইলি রোডে চোখের পলক ফেলতেই দেখা যায় বিভিন্ন শোরুম ও দোকানে ঈদের প্রস্তুতির চিত্র। এলাকাটির বিভিন্ন শোরুম ও দোকানে বাহারি পণ্য চোখে পড়ার মতো। আগে থেকে কিছুটা বেড়েছে মানুষের আনাগোনাও, তবে সে তুলনায় বিক্রি নেই। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনেক দোকান একেবারেই ফাঁকা দেখা গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, কেবল মাস শেষ হলো, অনেকে এখনো বেতন-বোনাস হাতে পাননি। আশাকরি, দু-একদিনের মধ্যে বেচাকেনা বাড়বে।
তবে ক্রেতার আগমন না থাকলেও শোরুমগুলোতে দেশি-বিদেশি পণ্য চোখে পড়ে। বিভিন্ন নামি ব্র্যান্ডের জুতা ও কসমেটিকস আইটেম সাজানো রয়েছে। না কিনলে অনেকেই শোরুমগুলোতে ঢুঁ মেরে দেখছেন অ্যারাবিয়ান পাঞ্জাবি, পাকিস্তানি কাবলি, মেয়েদের ফ্যাশনেবল কেল্লা টপস ও প্রিন্সি। এখানে অ্যারাবিয়ান পাঞ্জাবি, পাকিস্তানি কাবলি পাওয়া যাচ্ছে দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে। প্রিন্সি বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার টাকার মধ্যে। এবার ক্রেতার কাছে আর্কষণীয় মেয়েদের পোশাক কেল্লা টপস। এটি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। এসব নিয়ে কথা হয় তৈরি পোশাকের ব্র্যান্ড ‘প্রভিডেন্স’ শোরুমের সেলস এক্সিকিউটিভ তাজের সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের ঈদবাজার এখনো জমে ওঠেনি, ক্রেতা নেই। তবে যারা আসছেন বিশেষ করে মেয়েরা প্রিন্সি ও কেল্লা টপস দেখছেন। অনেকেই এ পোশাক কিনছেন। বিক্রি হচ্ছে এরাবিয়ান পাঞ্জাবি ও পাকিস্তানি কাবলি। তবে, গত রোজার ঈদের সঙ্গে তুলনা করলে বেচাবিক্রি একেবারে নেই বলা যায়। কেবল মাস শেষ হলো, অনেকে এখনো বেতন-বোনাস হাতে পাননি। আশাকরি দু-একদিনের মধ্যে বেচাকেনা বাড়বে।
বেইলি রোডের আর্টিসান, ইনফিনিটি, এম ক্রাফট, অঞ্জন’স, সায়মা কালেকশন, ঝলক শাড়ি, নবরূপসহ কয়েকটি শোরুম ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতার আগমন রয়েছে, তবে অন্য বছরের তুলনায় সেটা খুবই কম- এমনটাই বলছেন এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মরতরা। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বেইলি রোডের বিভিন্ন দোকানে টপস পাওয়া যাচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়, পাঞ্জাবি দুই হাজার থেকে চার হাজার ৪৯৫ টাকায় ও থ্রি-পিস দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। বিভিন্ন (সিল্ক, মসলিন) শাড়ি রয়েছে এক হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে। ছোটদের বিভিন্ন পোশাক রয়েছে ৬৫০ থেকে দুই হাজার টাকার মধ্যে। আমদানি করা বিভিন্ন জুতা উঠেছে কয়েকটি শোরুমে। যেগুলো পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বেচাবিক্রি নিয়ে কথা হয় নবরূপের ম্যানেজার আবুল কাশেমের সঙ্গে। তিনি বলেন, কোরবানির ঈদের তুলনায় রোজার ঈদে বরাবর বিক্রি ভালো হয়। এবার ঈদের বাজারে এখন পর্যন্ত শাড়ি বিক্রি নেই বললেই চলে। আমরা আশায় আছি ক্রেতা আসবে। আশা করছি, দু-একদিনের মধ্যেই বিক্রি জমে ওঠবে। তবে ভিন্নতা দেখা গেছে বেইলি রোডে উইমেনস ক্লাব মাঠে নারী উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে আনন্দ মেলায়। হস্তশিল্প প্রদর্শিনী ও আনন্দ মেলায় ক্রেতা চোখে পড়ার মতো ছিল। এখানে বিভিন্ন স্টলে হাতের কাজের থ্রি-পিস, টু-পিস, রেডিমেড জামা, জামদানি শাড়ি, ছেলেদের শার্ট-প্যান্ট, চামড়াজাত পণ্য ও গয়নাসহ নানা ধরনের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। রয়েছে জুয়েলারি (বালা, নাক ফুল, পুথির মালা) আইটেম।