তার মতে, পানি পানের পরিমাণ কমিয়ে দিলে শরীরে বহু সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডিহাইড্রেশনের কারণে কিডনিতে পাথর, দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলাসহ নানা জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।
পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি কেন? এ বিষয়ে পুষ্টিবিদ জানান, পানির অপর নাম জীবন। রক্ত তৈরি থেকে শুরু করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়মিত করে পানি। এছাড়া শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, হজমে সাহায্য করে, মেটাবলিজম বা বিপাককে ত্বরান্বিত করে পানি। এমনকি পানি শরীর থেকে খারাপ পদার্থ বের করে দেয় ও জয়েন্টকে পিচ্ছিল রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।
কোয়েল পাল চৌধুরির মতে, একজন ব্যক্তির কতটুকু পানি পান করা জরুরি তা নির্ভর করে তার পেশা, ওজন, উচ্চতা ইত্যাদির উপর। তবে সাধারণ হিসেবে বলা যেতে পারে দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করা আবশ্যক। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষের এই পরিমাণ পানি অবশ্যই পান করতে হবে। তবেই এই গরমে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারবেন। না পানির ঘাটতিতে প্রাণহানীর ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। যারা দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে কাটান, তাদের উচিত বেশি পরিমাণে পানি পান করা। এজন্য সঙ্গে পানির বোতল রাখুন। যখনই তৃষ্ণা পাবে জলপান করুন। গলা ও জিভ শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না।
খুব গরমে দুপুরের দিকে না বের না হওয়াই ভালো। একান্তই বাইরে যেতে হলে টুপি, ছাতা সঙ্গে রাখুন। আর পানির বোতলও সঙ্গে রাখুন। আর যারা এসিতে থাকেন, তারাও নিয়ম করে পানি পান করুন। এতেই শরীর হাইড্রেট থাকবে।
পানির বিকল্প কী? এখন যেহেতু রমজান মাস, তাই সারাদিন পানি পান করা হয় না অনেকেরই। তাদের উচিত ইফতার থেক সেহরি পর্যন্ত তরল খাবার ও পানি বেশি পরিমাণে পান করা। পানির বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি রাখুন প্রতিদিন ইফতারে এর মাধ্যমে শরীরের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক থাকে। এছাড়া মৌসুমী ফলের তাজা রস পান করুন। এতেও ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট মিলবে, সঙ্গে তৃষ্ণাও মিটবে। তবে বাইরের কাটা ফলের জুস কিনে খাবেন না। এছাড়া গরমে চা, কফি কম পান করুন। তবে কিডনির সমস্যায় যারা ভুগছেন তাদের পানি পান করতে হবে মেপে। এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। এছাড়া হার্টের বিভিন্ন অসুখেও মেপে পানি পান করতে হবে। তাই হার্ট ডিজিজে আক্রান্তদেরও জলপান নিয়ে সচেতন হতে বলেন কোয়েল পাল চৌধুরী।
সূত্র: এই সময়