বরিশাল নগরবাশির বিভিন্ন শ্রেনির সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আসন্ন-২০২৩ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাতকে দলীয় মনোনায়ন দিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোয়ন বোর্ড। রবিবার গনভবনে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের স্থানীয় সরকার মনোনায়ন বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই খবর বরিশালে পৌঁছালে মুহুর্তের মধ্যে যেন বিজয়ের আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেন বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বিরোধী শিবির সহ খোকন সেরনিয়াবাতের কর্মী সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুকে বরিশালের বিভিন্ন পেশার মানুষদের অভিননন্দ জানাতেও দেখা গেছে আগামী দিনের এই নৌকার কান্ডারীকে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বোন আমেনা বেগমের ছোট ছেলে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তিনি বর্ষীয়ান নেতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর ছোট ভাই ও বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ছোট চাচা। জানা গেছে, পঁচাত্তরের নির্মম কালোরাতের হত্যাকান্ডের পর থেকে নিভৃতচারী পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্বের অধিকারী খোকন সেরনিয়াবাতের আজ পর্যন্ত দলে কোনো পদ-পদবি নেই। তবে তিনি বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে হিসেবেই বেশি পরিচিত। ২০১৮ সালে বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে আওয়ামী লীগের টিকিটে একচেটিয়া কতিপয় নিজস্ব ঘড়ানার কাউন্সিলর নিয়ে নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিন হন সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লহ। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের বরাদ্ধ থেকে বঞ্চিত হবার পরও নগরভবনের আয় দিয়ে বরিশাল শহরের বেশকিছু এলাকার রাস্তাঘাটা উন্নতমানের কাজ করে এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অপরদিকে রাজনৈতিক দূরদর্শিতা অভাব ও অনিভিজ্ঞতার নানা কারনে সমালোচনায় পড়েন তিনি। এর আগে, বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র বাসভবনে হামলার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিবাদ দেখা দেওয়ার পরও এমনকি দলীয় মেয়র ও প্রভাবশালী নেতার পুত্র হবার পর দেখা যায় তাকে বরিশাল নগরীর কালীবাড়ি রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করার জন্য ব্যাপক পুলিশ হাজির হওয়ার মত দৃশ্য দেখা গেছে। পরে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ও দলের ভার্বমূর্তি রক্ষার জন্য সমস্যার সমাধানও করা হয়। অন্যদিকে অভিযোগ নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক জেলা ও মহানগরের বিগত আন্দোলন-সংগ্রামের পোড় খাওয়া আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা তার কাছ থেকে প্রায় সময় দেখা-স্বাক্ষাত করা থেকে হয়েছে বঞ্চিত। একই সাথে নগরবাশি তার বিরেুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন তিনি মেয়র হওয়ার পর একদিনের জন্য নগর ভবনে গিয়ে তার দেখা পাওয়া যায়নি। অপরদিকে তার বাসায় যাওয়ার পরও ঘন্টার পর ঘন্টা দলীয় লোকজন সহ নগরবাশি বসে থেকে এক প্রর্যায়ে চলে আসার কথা তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন। তবে দলের নীতিনির্ধারকদের মতে, আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে বরিশাল সিটি করপোরেশনের জয় ধরে রাখা দলটির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই প্রার্থী মনোনয়নের ক্ষেত্রে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনায়ন ফরম সংগ্রহ করা মহনগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জসীম উদ্দীন বলেন, দলীয় সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনায়ন দিয়েছেন। আমরা তার সিদ্ধান্তের উপর শ্রদ্ধা জানিয়ে নৌকার পক্ষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো ইনশআল্লাহ।