পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্থানীয় এক চৌকিদার এবং তার পরিবারের সদস্যদের হামলায় ওই চৌকিদারের মামী গুরুতর আহত হয়েছে। আহত ওই নারী বর্তমানে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাাধীন। বুধবার সকালে উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের পত্তাশী গ্রামে হামলার এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত রানী বেগম(৩০) ওই গ্রামের দিনমজুর মিজানুর রহমান হাওলাদার(৩৮) এর স্ত্রী। রানী’র স্বামী মিজানুর রহমান জানায়, তাদের বাড়ির জমির মালিকানা দাবি করে আসছিল একই গ্রামে বসবাসকারী তার বোন মর্জিনা। এ নিয়ে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। হঠাৎ করে বুধবার সকালে মিজানুর রহমান এর ভাগনে ২নং ওয়ার্ডের চৌকিদার মাইনুল ইসলাম শেখ, তার বাবা জলিল শেখ এবং মা মর্জিনা বেগম একত্রিত হয়ে তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এরপর ঘরে থাকা টেলিভিশন ও অন্যান্য মালামাল ভাঙচুর করতে শুরু করে। এ সময় রানী তাদেরকে বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকে বেধমভাবে পিটাতে শুরু করে। এ সময় রানীকে পাথরের পুতা দিয়ে বুক ও পেট সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে মাইনুল ও তার বাবা-মা। হইহুল্লোর শুনে মিজানুর ঘুম থেকে জেগে তাদেরকে বাধা দিলে, হামলাকারীরা মিজানুরকেও মারধোর করে। এরপর হামলাকারীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে স্বজনরা রানীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে প্রথমে ইন্দুরকানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছে চৌকিদার মাইনুল। এ বিষয়ে ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এনামুল হক জানান, বিষয়টি তিনি মৌখিকভাবে শুনেছেন। লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।