গাজীপুরের কালীগঞ্জে পৃথক ঘটনায় একদিনে পাঁচজন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন সড়ক দুর্ঘটনায় ও একজন বিষপানে নিহত হয়েছে। বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফায়েজুর রহমান (পিপিএম)। এর আগে মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পৃথক চারটি ঘটনায় ওই ৪ জন নিহত হয়। ওসি বলেন, নিহত কাউছার আহম্মেদ(৩২) গাজীপুর জেলার টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর এলাকার মোহাম্মদ শুক্কুর মোল্লার ছেলে। গতকাল সন্ধ্যায় তাকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থার অবনতি দেখে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রেরণের পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নিয়ে গেলে রাত ৮টা দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাউসারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সেলিনা বেগম(৫০) একই জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের মেয়ে। তাকেও সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে, কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের মূলগাও নামক স্থানে ঢাকাগামী এনা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় পাঁচদোনাগামী সিএনজি অটোরিকশার অজ্ঞাত(১৮) এক কিশোর যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় গুরুতর মিরাজ(১২) নামে আহত প্রথমে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ এর পরামর্শ দেন। পরে সেখানে এসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় একজনের পরিচয় জানা গেল অপর যাত্রীর পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। নিহত মিরাজ গাজীপুর জেলার টঙ্গীর চেরাগআলী (কাঁঠালতলা) এলাকার জালাল উদ্দিন ওরফে জলিল মিয়ার ছেলে। এছাড়া বিষপানের নিহত সজল চন্দ্র দাস(৩০) জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুমুলিয়া ইউনিয়নের ভাইয়াসুতি গ্রামের সঞ্জীবন চন্দ্র দাসের ছেলে। ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় থানায় তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। এরমধ্যে দুইটি সড়ক পরিবহন আইনে এবং একটি অপমৃত্যুর।