কুড়িগ্রামের রৌমারীতে দিন দুপুরে সরকারি হাসপাতালের সংরক্ষিত এলাকা থেকে সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতর মসজিদের সামন থেকে প্রায় অর্ধশত বছরের পুরানা একটি মোটা রেন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। অভিযোগ ঊঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে রৌমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের উপস্থিতিতে হাসপাতালের সামনে থেকে একটি বিশেষ মহলের যোগসাজশে মসজিদের কাজের কথা বলে প্রায় আনুমানিক ১ লাখ টাকা মূল্যের গাছটি অবৈধ ভাবে কেটে নিয়েছেন। জানা যায়, গত ১৬ মে মঙ্গলবার বেলা দুপুর ১২ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামানের মৌখিক নির্দেশনায় এবং সু-কৌশলে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে হাসপাতালের সামন থেকে নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে মসজিদের কাজের কথা বলে একটি বিশেষ মহল গাছটি কেটে ফেলেন। হাসপাতালের সামনে ঔষধ ব্যবসায়ী আব্দুল্যাহের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে জানা যায়, মসজিদের কাজের সুবিধার জন্য গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে বলে দাবী করেন। তিনি আরো বলেন, মসজিদের কাজের জন্য গাছ বিক্রি বাবদ ১৭ হাজার টাকা পেয়েছি। সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাককে গাছ কাটা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাছ কাটার সময় উপস্থিত ছিলাম। তবে মসজিদের বারান্দা দেয়ার জন্য ৫/৬ হাজার টাকা দিয়েছে বলে আমি জানি। আনুমানিক ১ লাখ টাকার গাছটি এতো অল্পদামে কেনো বিক্রি করা হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোন সদ্বউত্তর তিনি দিতে পারেননি। এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামান জানান, সরকারী নিয়মনীতি অনুযায়ী গাছ কাটা হয়নি। তবে স্থানীয় অনেকেই বিষয়টি জানেন বলে উল্লেখ করেন। সিভিল সার্জন কুড়িগ্রামকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, সরকারি হাসপাতালের সংরক্ষিত এলাকা থেকে নিয়মনীতি ছাড়া গাছ কাটার কোন বিধান নাই। গাছ কাটার বিষয়টি আমাকে জানানো হয় নাই।