চোখ ধাঁধানো কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম বর্ণে সেজেছে প্রকৃতি। কৃষ্ণচূড়ার লালে লাল ফুলে ছেয়ে গেছে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পথ প্রান্তর। জৈষ্ঠের প্রখর উত্তাপ গায়ে মেখে রাস্তার দু’পাশে অগনিত কৃষ্ণচূড়ার গাছে ফুলের সমারোহ রঙ ছড়িয়ে হয়েছে নানা বর্ণময়। টুকটুকে লাল, হলুদ ফুল এবং উজ্জ্বল সবুজ পাতা দিয়ে নতুন রূপে প্রকৃতির অপরুপ রূপে সেজেছে উল্লাপাড়া। যা দূর থেকেও পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। উল্লাপাড়ার ১৪ ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি এলাকার সড়ক,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ নানা স্থানে কৃষ্ণচূড়ার ফুল ফুটেছে। অনেক বাড়িতেও আবার কৃষ্ণচূড়ার গাছে ফুল ফুটেছে। কৃষ্ণচূড়ার কাঠ খুব একটা দামি না হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এ গাছের চারা রোপণে আগ্রহ কম। তবে শখের কারণে এর কদর আছে। এপ্রিল মাস থেকে এই ফুল ফোটা শুরু হয়। বছরের অন্যান্য সময় এই ফুল সচারচার চোখে না পড়লেও এপ্রিল-জুন মাসে গাছে নতুন পাতা বা ফুল ফোটা শুরু করে। পথচারিদের নজর কাড়ে মনোমুগ্ধকর এই কৃষ্ণচূড়া। পথের মধ্যে লাল ও হলুদ কৃষ্ণচূড়া দেখলেই মনে হয় একটু থেমে নেই।উপজেলার প্রতিটি গ্রামে এখন কৃষ্ণচূড়ার শাখায় শাখায় লাল, হলুদ ফুলের সমারোহ। কৃষ্ণচূড়া গাছ খুব একটা বড় হয় না। তবে এর ডালপালা পাইকোর গাছের মতো অনেক জায়গা পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। পরিবেশের সৌন্দর্যবর্ধক বৃক্ষ কৃষ্ণচূড়া গাছ বর্তমানে রাস্তার দুই ধারে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি হাসপাতাল ও বাড়ির আঙিনায় শোভা পাচ্ছে। অনেক দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাছে গাছে যেন রয়েছে লাল হলুদের সমারোহ। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক জধন-১২ হেডকোয়ার্টারের সামনে রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ কৃষ্ণচূড়ার গাছের ছায়ায় বসা এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, প্রচন্ড রোদে এ গাছের ছায়ায় বসে কাজ শেষে বসে ক্লান্তি দুর করছি । ধূলা-বালি ও গ্রীষ্মের খরতাপে শান্তির পরশ বুলিয়ে দেয় এই কৃষ্ণচূড়া গাছগুলো। তিনি আরএ বলেন,এ ফুলের রক্তিম লালে প্রকৃতিকেও যেন অনেক অপরূপ দেখায় এবং মনে পড়ে যায় সেই বিখ্যাত গানের কলি “এই সেই কৃষ্ণচূড়া যার তলে দাঁড়িয়ে…….!!