ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, শুধু কীটনাশক দিয়ে নয়, ডেঙ্গুকে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে মাথায় নিয়ে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেতনতামূলক গণ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণ করতে চাই। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ডেঙ্গুকে আমরা সামাজিকভাবে মোকাবিলা করতে চাই, প্রতিরোধ করতে চাই। কারণ, শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে ডেঙ্গু রোগ মোকাবিলা করা সম্ভব না। এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব না। বুধবার (৩১ মে) রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ সড়ক এর নামফলক উন্মোচন, সড়ক উদ্বোধন এবং বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ঢাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনার বাসা-বাড়ি, স্থাপনার অভ্যন্তরে যে পানি জমে, থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে যে পানি জমে, আগে আমরা বলতাম ৩ দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন। তিনি বলেন, আমরা এখন বলছি, পারলে নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও যদি আমরা পানি জমতে না দেই, তাহলে আমরা এই এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে পারব। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে পারব।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কগুলোকেও আরও উন্নত ও প্রশস্ত করার পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। আপনারা দেখেছেন, এটি দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন ছিল। আমরা এ সড়কের সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছিলাম এবং ড্যাপের পরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা এই সড়কটি প্রশস্থ করেছি। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নর্দমা নির্মাণ করেছি, দুদপাশে হাঁটার পথের ব্যবস্থা করেছি। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির এবং উপাসনালয়।
আমরা এই মন্দিরের প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দের নামে আমরা এই সড়কটির নামকরণ করেছি। এই সড়কটি প্রশস্ত করার ফলে অত্র এলাকার মানুষ উপকার পাবেন। আমরা যে নকশা করেছি তা পরিপালন করে পর্যায়ক্রমে ঢাকা-৯ আসনের মুগদা সড়কসহ মূল সড়কগুলোকে আরও উন্নত করব। এর মাধ্যমে জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনেরই কীটনাশক কমিটি রয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। কমিটির বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা পুরো বছরের কীটনাশক আমদানি ও মজুত করেছি। এছাড়াও ২০২০ সালের পর থেকে আমাদের কীটনাশকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।