রাজধানীর দারুস সালাম থানায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরও একটি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। দারুস সালাম থানায় দায়ের করা এই মামলাটি বাতিলের ফলে এখন পর্যন্ত খালেদা জিয়ার নামে থাকা মোট ২৩টি মামলা বাতিল করা হলো বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন— জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী প্রমুখ। পরে আইনজীবীরা বলেন, ২০১৫ সালে সরকারবিরোধী আন্দোলনে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় তিনটি ও দারুস সালাম থানায় ৭টি মামলা করা হয়। এসব মামলায় এফআইআরে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। চার্জশিটে তার নাম ঢোকানো হয়। দীর্ঘদিন থেকে হাইকোর্টের আদেশে এসব মামলার কার্যক্রম স্থগিত ছিল। খালেদা জিয়ার আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ১০টি মামলা বাতিল করলেন হাইকোর্ট। এদিকে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাও বাতিল করেন বিচারক। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। এরপর সাজা বাতিল হয়ে মুক্তি মেলে খালেদা জিয়ার। গত ৩০ অক্টোবর রাজধানীর দারুস সালাম ও যাত্রাবাড়ী থানায় নাশকতার অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১০টি মামলা বাতিল করেন হাইকোর্ট।
আইনজীবীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে নাইকো ও বড়পুকুরিয়া দুর্নীতির মামলাগুলো রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজা স্থগিত করেছেন রাষ্ট্রপতি।