গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রায় ১১ শ’ কোটি টাকার কর সংক্রান্ত ১২টি মামলা আপাতত শুনবেন না হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের দ্বৈত বে জানান, এ মামলায় কনিষ্ঠ বিচারপতি রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি গ্রহণ করেছিলেন। কাজেই তারা এটি শুনতে পারবেন না। পরে প্রধান বিচারপতির কাছে নথি পাঠানো হয়।
এর আগে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাঁচ বছরে ১১শ’ কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত ৭ মে হাইকোর্টকে এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২০১২-১৭ এ পাঁচ বছরে এই কর ফাঁকি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, সরকারের পাওনা অর্থগুলোর মধ্যে একটি হলো গ্রামীণ কল্যাণ ৫৭৬ কোটি ৯৪ লাখ ৫৭ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। গ্রামীণ কল্যাণের আরেকটিতে ৩৫৪ কোটি ৭৯ লাখ ৮৯ হাজার ৫৪৭ টাকা এবং গ্রামীণ টেলিকমের একটিতে সরকারের পাওনা ২১৫ কোটি টাকা। নোবেল বিজয়ী এ অর্থনীতিবিদের ব্যক্তিগত এবং তার প্রতিষ্ঠিত নয়টি প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছিল দুদক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এনবিআরের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট সার্কেল এবং জরিপ দফতরকে মৌখিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল।