বাবার নির্ভরতার ছায়া খুব বেশিদিন পাননি শাহাদাত হোসেন দিপু। ছোটবেলায় বাবাকে হারান। স্বপ্ন পূরণের পথটা তাই মসৃণ ছিল না। কিন্তু এই পথে ভরসা দিয়েছিলেন বড় ভাই। তাই আর পিছু ফিরতে হয়নি দিপুকে। আর এখন তো পৌঁছে গেছেন জাতীয় দলের দোরগোড়ায়। জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার পর এভাবেই নিজের জীবনের গল্পগুলো বলতে শুরু করেন শাহাদাত হোসেন দিপু। প্রথমবার সংবাদ সম্মেলনে এসে সর্বদা ছায়া দিতে থাকা ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি তিনি। অতীত খুলে মেলে ধরলেন সবার সামনে। সেই সাথে জানান প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার অনুভূতি।
গত রোববার (৪জুন) আসন্ন আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের একমাত্র টেস্টকে সামনে রেখে দল ঘোষণা করে বিসিবি। দলে থাকা দু’জন নতুন মুখের একজন শাহাদাত হোসেন দিপু। ২০১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই ক্রিকেটার দীর্ঘদিন যাবত আছেন আলোচনায়। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে দারুণ পারফরর্ম করে জায়গা করে নিয়েছেন জাতীয় দলে।
প্রথমবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে কেমন লেগেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে দিপু জানান, ‘গতকাল মাগরিবের আগে সম্ভবত বাশার স্যার কল দিয়েছিল। খুশি তো লাগবেই, স্বাভাবিক। সবারই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে খেলার। আমারও খুশি লাগছে। সবাই অভিনন্দন জানাচ্ছিল।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ এ দলের বিপক্ষে দারুণ পারফর্ম করেন দিপু। বিশেষ করে প্রথম দুই টেস্টে দলের একমাত্র নিয়মিত পারফর্মার ছিলেন তিনি। ছিল পরিপূর্ণ টেস্ট ব্যাটিংয়ের ছাপ। মানসিক নাকি স্কিল, কোন দিক থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখেন? এমন প্রশ্নের জবাবে দিপু বলেন, ‘পরিস্থিতি যখন যেমন থাকে সে অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। স্কিল তো ভালো সবাই বলে। তবে আমি ফিল করি মানসিকভাবে আরো শক্তিশালী হওয়া দরকার এখানে খেলার জন্য। ডে বাই ডে যেন আমি আরো উন্নতি করতে পারি সেটাই চেষ্টা থাকবে।’