রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ অপরাহ্ন

শেরপুরে গারো পাহাড়ে আনারস চাষ : লাভবান কৃষক

খবরপত্র ডেস্ক:
  • আপডেট সময় রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩

জেলার গারো পাহাড়ে শুরু হয়েছে আনারস চাষ। ঝিনাইগাতি উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের উত্তর বাঁকাকূড়া গ্রামে পিটার সাংমার ৬ একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে এ আনারস চাষ করে কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
পিটার সাংমার প্রথম অবস্থায় একটু চিন্তায় পড়লেও পরবর্তিতে ফলন দেখে আশায় বুকে বাঁধেন পিটা। এ আনারস যখন পাকা শুরু হয় তখন দেখেন মধুপুরের চেয়ে অনেক বেশি সুস্বাদু ও রসালো হয়েছে। পুরো বাগানের প্রায় সোয়া লাখ পিস আনারস ১৬ লাখ টাকায় বিক্রিও করে দিয়েছেন তিনি। আশাপাশের অনেকেই এ বাগান দেখতে এবং চাষাবাদের আগ্রহ নিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তার বাগানে।
ওই গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, পাহাড়ের ঢালুতে এক সময়ের পতিত জমিতে সারি-সারি আনারস বাগানে থরে-থরে পেঁকে আছে মধুপুরের জাতের আনারস। রসে ট্ইুটুম্বর এ আনারস। গারো পাহাড়ের মাটি অনেক আগে থেকেই খুবই উৎপাদনশীল মাটি। এ পাহাড়ি মাটিতে যা কিছুই রোপণ করা হয়, তাই হয়।
মধুপুরের জাতের আনারস রোপণ করে সফল হয়েছেন পিটার সাংমা নামে এই আনারস চাষি। প্রথমে তিনি মুধুপুর থেকে এসে তার শ্বশুরের ৬ একর জমিতে গত বছরের শুরুতে প্রায় সোয়া লাখ চারা রোপণ করেন। বিগত প্রায় দেড় বছরে ওইসব চারা থেকে ১ লাখ ১০ হাজার গাছে আনারস ফলন হয়। পুরো বাগানের রক্ষনা-বেক্ষন, সেচ, সার, পরিচর্যা বাবদ খরচ হয় প্রায় ১১ লাখ টাকা। তার এ পুরো বাগান মধুপুরের এক ব্যবসায়ীর কাছে ১৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তবে বন্য হাতি তার বাগানের কিছু ক্ষতি করায় পরিমাণ কিছুটা লাভ কম হয়েছে বলে জানায় পিটার। প্রথম অবস্থায় স্থানীয়রা পিটারের বাগান দেখে সন্দিহান ছিলেন। পরবর্তিতে ফলন ভালো দেখে গ্রামের মানুষ আশার আলো দেখেন এবং অনেকেই তা দেখে আগ্রহ প্রকাশ করছে তারাও পাহাড়ি পতিত জমিতে এ আনারস চাষ করবে। এছাড়া দূর-দূরান্তের অনেকেই এ বাগানের কথা শুনে বাগান দেখতেই আসছে এবং আনারস খেয়ে যাচ্ছে। এছাড়া এ বাগানে পরিচর্যার কাজ করে অনেকেই আয়ের উৎস খ্ুেজ পেয়েছেন বলে জানায় স্থানীয় কয়েকজন শ্রমিক। মধুপুর থেকে আসা এ পাইকার এসে ১৬ লাখ টাকায় পুরো বাগান কিনে নিয়ে তিনিও এ আনারসের বেশ প্রশংসা করেন।
ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন দিলদার জানায়, পাহাড়ি মাটি মূলত এসিডিক। আর এ মাটিতে আনারস চাষের খুবই উপযোগী। উচ্চমূল্যের এ ফল চাষ করে পাহাড়ের অনাবদি জমি যেমন চাষের আওতায় আসবে তেমনি পাহাড়ি অঞ্চলে কৃষিতে নতুন অর্থকরি ফসল হিসেবেই আনারসের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে বলে তিনি জানায়।




শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর









© All rights reserved © 2020 khoborpatrabd.com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com