চকরিয়া উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্টিত হয়। সভায় এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন আলোচনার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব পায় বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া-ফাইতং সড়কে চাঁদাবাজী বন্ধের বিষয়। প্রশ্ন উত্তর পর্বে চকরিয়ার সাংবাদিক মিজবাউল হক দাবী করেন চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের বানিয়ারছড়া-ফাইতং সড়কে বরইতলী ইউনিয়নের নাম ভেঙ্গে সড়কে চলাচলকারী মালবাহী গাড়ী, রিক্সা, ভ্যান, তরকারী সহ বিভিন্ন পন্য থেকে টোলের নামে টাকা আদায় করা হচ্ছে। সম্প্রতি নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী ওই সড়কে টোলের নামে চাঁদাবাজী বন্ধে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন বলে উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। সাংবাদিক মিজবাউল হক আরো দাবী করেন, উল্লেখ্য সড়কে টোল আদায় বন্ধে ২৯ জুন ‘২২ তারিখে বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান বরাবর একটি চিটিও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব জেপি দেওয়ান কর্তৃক প্রেরিত হয়েছিল। তারপরো কেন বন্ধ হচ্ছে না? এর পরই বরইতলীর ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামানের দৃষ্টি আকর্ষন করে পৃথকভাবে একে একে প্রশ্ন করেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম সাঈদী ও চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান। প্রশ্নোত্তরে বরাবরের মতো বলেন বরইতলীর ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান বানিয়ারছড়া-ফাইতং সড়কে টোল বা চাঁদা আদায়ের জন্য কোন ধরনের গোদী নিলাম দেননি বলে জানান। তারপরো কে বা কারা চাঁদা আদায় করছে খবর নিয়ে প্রতিবেদন দেবেন বলে জানান চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামান। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বানিয়ারছড়া-ফাইতং সড়কের লামা অংশে বান্দরবান জেলা পরিষদ, লামা উপজেলা পরিষদ, ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদ সহ ৪/৫ স্থরের টোল/চাঁদা আদায়ের পর চকরিয়া ঢুকতেই মোশার্রফ নামের এক ব্যক্তি বরইতলীর ইউপি চেয়ারম্যান খালেকুজ্জামানের নাম ভেঙ্গে ফের চাঁদা আদায় করছে। বুধবার ৭ জুন ‘২৩ সংবাদ সম্মেলন করে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন অব্যাহত চাঁদাবাজীর শিকারে অতীষ্ট নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী। এর পর থেকে ঘটনাটি গত ৮ জুন ‘২৩ এ চকরিয়া উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে এ সড়কে চাঁদাবাজী নিয়ে ব্যবসায়িদের মাঝে বিরাজ করছে চরম উত্তজনা।