মানুষ ইতিমধ্যেই চাঁদে পাড়ি দিয়েছে। মঙ্গল গ্রহে ভাগ্য অন্বেষণে নেমেছে। কিন্তু মহাকাশের বুকে ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করতে হলে দরকার গাছপালার। এবার সেই পরীক্ষা নিরীক্ষায় নেমেছে নাসা। ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে, ২০১৫ সাল থেকে নাসা মহাকাশে ফুলের চাষ শুরু করেছে। জিনিয়া ফুলের বীজ নিয়ে এই গবেষণা চালানো হয় বলে জানান নাসার মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন। নাসা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বপন করা এবং জন্মানো জিনিয়া ফুলের একটি ছবি পোস্ট করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ফুলের ছবি পোস্ট করে মহাকাশ সংস্থা নাসা লিখেছে, “আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সবজি ফলানোর অংশ হিসেবে কক্ষপথে এই জিনিয়া ফুলের চাষ করা হয়েছিলো।
বিজ্ঞানীরা ১৯৭০ সাল থেকে মহাকাশে উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করছেন, কিন্তু এই বিশেষ গবেষণা ২০১৫ সাল নাগাদ শুরু করেন নাসার মহাকাশচারী কেজেল লিন্ডগ্রেন। তিনি আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পরীক্ষা শুরু করেছিলেন।” মহাকাশ উদ্যানের গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে, নাসা বলেছে, “আমাদের মহাকাশ উদ্যানটি শুধুমাত্র দেখানোর জন্য নয়, কক্ষপথে কীভাবে উদ্ভিদের বিকাশ হয় তা শেখা আমাদের বুঝতে সাহায্য করবে কীভাবে পৃথিবীর ফসল মহাকাশে উৎপন্ন করা যায়। এটি দীর্ঘমেয়াদী মিশনে তাজা খাদ্যের একটি মূল্যবান উৎস প্রদান করবে।
চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ এমনকি তার বাইরেও। @NASAAstronauts এছাড়াও আইএসএস-এ লেটুস, টমেটো এবং চিলি মরিচ চাষ করেছেন, অন্যান্য সবজিও চাষ করা হচ্ছে।” আইএসএস -এ একটি দর্শনীয় মহাকাশ বাগান তৈরি করা হয়েছে, যা পৃথিবীর সীমার বাইরে খাদ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রদর্শন করে। মহাকাশচারীদের তাদের গভীর মহাকাশ মিশনে এই ফসল উৎপাদন অনেক সাহায্য করবে। নাসের ফুলের ফটোগ্রাফটি অনেক বিজ্ঞান অনুরাগীকে উত্তেজিত করেছে এবং তারা মন্তব্য বিভাগে বিপুল সংখ্যক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অনেকেই লিখেছেন -”স্পেস এবং ফুল সত্যি দুটোই অবিশ্বাস্য এবং সুন্দর।”
সূত্র :wionews