গাজীপুরের কালীগঞ্জে পচাঁ ও অসুস্থ্য গরুর মাংসে পানি মিশিয়ে বিক্রি করায় খোকন কসাইয়ের বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে ভোক্তভূগী ও এলাকাবাসীসহ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। ভোক্তভূগী ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাজীপুর- আজমতপুর- ইটাখোলা আঞ্চলিক মহাসড়কের আজমতপুর চৌরাস্তায় এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন- দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী আওড়াখালী বাজারের খোকন কসাই পচাঁ মাংস ও অসুস্থ্য গরুর মাংসে পানি মিশিয়ে বিক্রি করে আসছিল। শুধু তাই নয় ইতিপূর্বে মৃত গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করার অপরাধে তাকে বাজার থেকে ব্যবসা বন্ধ করে দেয় তৎকালীন বাজার বনিক সমিতির কমিটিবৃন্ধ। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গরুর পচাঁ গোস্ত বিক্রির বিষয়টি ভাইরাল হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে অভিযুক্ত খোকন কসাই গরুর মাংসে পানি মিশানো ও পচাঁ গোস্ত বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন- একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছে। গরমের কারণে মাংসে গন্ধ হয়ই। ভোক্তভূগী কামরুন্নাহার ও রমজান খান সাংবাদিকদের বলেন- আমার বাবা মো. মোসলেহ উদ্দিন গত ৬ ই জুন মারা যান। পরে তার স্বরণে ৯ ই জুন শুক্রবার দুপুরে প্রায় তিনশত লোকের এক দোয়ার আয়োজন করা হয়। এদিকে শুক্রবার সকালে স্থানীয় আওড়াখালী বাজারের মাংস ব্যবসায়ী খোকন কসাইয়ের কাছ থেকে ৪০ কেজি গরুর মাংস কিনে বস্তায় করে বাড়িতে নিয়ে যাই। বাড়িতে নিয়ে মাংসের বস্তা খুলতেই বের হয় পচাঁ দূগর্ন্ধ। পরে কসাইকে খবর দেয়া হলে সে ওই বাড়িতে এসে বলে গরম পানি, লবণ ও হলুদ মিশিয়ে কয়েকবার পরিস্কার করলে দূর্গন্ধ থাকবে না বলে জানান। ওই গোস্ত ফেরত দিলে পুনরায় সে আবারো পাচাঁ মাংসের সাথে অল্প ভালো গোস্ত মিশিয়ে দেয়। অপর দিকে একই গ্রামের মতিউর রহমান মোড়ল জানান, ১৪শত টাকা দিয়ে ২ কেজি মাংস কিনে বাড়িতে নিয়ে যাই। ওই মাংস থেকে প্রচুর পচাঁ দূর্গন্ধ বের হলে তা ফেলে দেই।