একবার ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা হয়েছিল পাকিস্তানের সুপারস্টার ক্রিকেটার শোয়েব মালিক ও ঢালিউডের সুপারস্টার অভিনেতা শাকিব খানের। দুজনে একসঙ্গে ছবি তুলেছিলেন, করেছিলেন কুশল বিনিময়। সেসময় শোয়েব জানিয়েছিলেন, তিনি শাকিব খানকে চেনেন। বাংলা সিনেমায় তার স্টারডমের কথাও জানেন তিনি। সে থেকে অনুমান করা যায় পাকিস্তানের দর্শকের কাছে একেবারে অজানা নন শাকিব।
এবার সেই দর্শকের কাছে পৌঁছে গেল তার জনপ্রিয় সিনেমা ‘তুফান’। পাকিস্তানের ৪২টি সিনেমা হলে গেল ১ নভেম্বর থেকে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এই চলচ্চিত্রটি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে সফলতা অর্জন করেছে। এবার পাকিস্তানের বাজার থেকেও বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তানের দর্শক সিনেমাটি উর্দু ডাব করা সংস্করণে উপভোগ করতে পারছেন। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় উর্দুতে ট্রেলার প্রকাশিত হলে দর্শকদের কাছ থেকে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। তবে মুক্তির পর কেমন চলছে সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য মেলেনি।
পরিচালক রায়হান রাফী জানান, আজকালের মধ্যেই পাকিস্তানের বক্স অফিসে তুফানের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। তার প্রত্যাশা সিনেমাটি পাকিস্তানে বেশ ভালো ব্যবসা করবে।
রায়হান রাফি পরিচালিত ছবিটির মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের বাজারে শাকিব খানের যাত্রা শুরু হলো। শাকিব খানও পাকিস্তানে ‘তুফান’ মুক্তি নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত। এরইমধ্যে তিনি গণমাধ্যমে এ নিয়ে নিজের অনুভূতিও জানিয়েছেন। বিশ্বের নানা দেশের মতো পাকিস্তানেও সিনেমাটি ভালো আয় করবে বলে আশাবাদী তিনি।
জানা গেছে, পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বড় দুই শহর করাচি ও হায়দরাবাদের ৬টি মাল্টিপ্লেক্স মুক্তি পেয়েছে ‘তুফান’। তা ছাড়া পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর, ইসলামাবাদ, মুলতান, ফয়সালাবাদ, গুজরানওয়ালা, গুজরাটসহ ১৩টি শহরের ৩৬টি মাল্টিপ্লেক্স মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
প্রথম সপ্তাহে ‘তুফান’র ১৩০টি করে শো হবে দেশটির বিভিন্ন মাল্টিপ্লেক্সে। পরের সপ্তাহে এর সংখ্যা বাড়তেও পারে বরে মনে করছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। ‘তুফান’ সিনেমাতে শাকিব খান দ্বৈত ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এতে তার বিপরীতে আছেন বাংলাদেশের নাবিলা এবং ভারতের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। আরও বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী, শহিদুজ্জামান সেলিম, গাজী রাকায়েত, ফজলুর রহমান বাবুসহ অনেকেই।