দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর পেকুয়া শিলখালী ছড়াপাড়া-সওদাগরহাট ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। উপজেলার অন্যতম প্রধান সড়ক এটি। বাঁশখালী উপজেলার সাথে পেকুয়া হয়ে এ সড়ক চকরিয়ায় যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। বিগত ৫ বছর আগে সড়কের ফাঁড়ি খালের উপর নির্মিত ব্রীজটি মধ্যখানে গর্ত হয়ে যায়। এরি মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চট্রগ্রাম থেকে সড়কপথে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি পেকুয়া উপজেলা আ’লীগের প্রয়াত সভাপতি আকম সাহাব উদ্দিন ফরায়েজীর বাসভবনে গিয়েছিলেন। তার পরিবারের সদস্যদের সাথে স্বাক্ষাত করেছিলেন। টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি গ্রাম থেকে তিনি কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিলেন। এ সড়ক দিয়ে তিনি চকরিয়া হয়ে কক্সবাজার শহরে যান। এ সময় ব্রীজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ তিনি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন। স্থানীয়রা জানায়, ব্রীজের এ গর্তটি মারাত্মক ঝুকিপূর্ন দেখতে পান মন্ত্রী। এ সময় তিনি গাড়ী থেকে নেমে যান। দ্রুত সময়ে এ ঝুঁকিপূর্ন অংশ ও ব্রীজ সংস্কার করতে মন্ত্রীর সাথে থাকা দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় তিন কোটি টাকায় ব্রীজটি নির্মােেন কাজ শুরু করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি। ব্রীজ নির্মাণ হলে যোগাযোগ সুবিধা পাবে বাঁশখালী পেকুয়া ও চকরিয়ার দুই লক্ষ মানুষ। দরপত্র অনুসারে যথা সময়ে কাজ সমাপ্তি করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। জানাগেছে, পেকুয়া উপজেলার শিলখালী সড়কের ব্রীজটি নষ্ট হওয়ার কারনে গত ১৫ বছর ধরে শিলখালীর আভ্যন্তরিণ সড়কটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিক্সা-অটো রিক্সা যানবাহন ও মানুষ যাতায়াত করছে। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পোহাতে হয় দু’উপজেলার দুই লক্ষাধীক মানুষের। ফলে ব্রীজটি নির্মাণ দুই উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবী হয়ে ওঠে। সোমবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, পুরোদমে সড়ক ও ব্রীজের নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় স্থানীয় প্রকৌশল বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সাধুবাদ জানিয়েছেন দুই উপজেলার মানুষ। পেকুয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শাহ জালাল বলেন, ব্রীজের নির্মাণ কাজ কার্যাদেশ অনুসারে বাস্তবায়নে তদারকি করছি। পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ। পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম চৌধুর বলেন, গার্ডার ব্রীজের নির্মাণ কাজ দরপত্রানুসারে শুরু হয়েছে। আশাকরি যথা সময়েই কাজ শেষ হবে। এ কাজ শেষ হলে দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমুল পরিবর্তন হবে। এ বছর জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে সড়ক ও ব্রীজের নির্মাণ কাজ শুরু করে। বর্তমানে পুরো দমে চলছে নির্মাণ কাজ। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় দুই উপজেলার মানুষের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে। তারা দরপত্রানুসারে যথা সময়ে নির্মাণ কাজ শেষে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবের দাবী জানিয়েছেন।