বরিশালের বাবুগঞ্জের আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙন তীব্র আকার ধারন করছে। ফলে ফলে গত কয়েক মাসে উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ২ টি গ্রামের বহু ঘরবাড়ি নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মধ্যে রয়েছে স্কুল, মসজিদ, আরজি কালিকাপুর ও রফিয়াদী গ্রামের কয়েকশ বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ নানা স্থাপনা। গত মাসে হঠাৎ আড়িয়াল খাঁ নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ভাঙন শুরু হয় আড়িয়াল খাঁর তীরবর্তী চাঁদপাশা ইউনিয়নের আরজি কালিকাপুর ও রফিয়াদী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। নদী ভাঙনের ফলে কয়েক মাসের ব্যবধানে আরজি কালিকাপুর ও রফিয়াদী গ্রামের কমপক্ষে ৮০ টি পরিবারের বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়েছে। দুটি গ্রামের প্রায় তিন একর ফসলি জমি আড়িয়াল খাঁ নদের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এছাড়াও রহমতপুর ইউনিয়নের সিংহেরকাঠী গ্রামের একটা বড় অংশ একই নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে আড়িয়াল খাঁ ভাঙনের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ যে বাড়ি-ঘর সরিয়ে নিতেও পারছেন না অনেকেই। হঠাৎ করে আড়িয়াল খাঁর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় আতঙ্ক বিরাজ করছে তীরবর্তী হাজারো মানুষের মাঝে। রফিয়াদী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মহিউদ্দিন ফিরোজ বলেন, এসব এলাকার মানুষ নদী ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে একেবারেই নিঃস্ব হয়েছে। ভাঙনে বসতভিটা হারিয়ে কয়েকটি পরিবার সড়কে টিন-পলিথিন দিয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছে। ব্রষ্টির মধ্যে এসব পরিবার বেশ নাজুক ও অসহায় অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
বর্তমানে আরজি কালিকাপুর ও রফিয়াদী গ্রামের শতাধিক পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে রয়েছে। চাঁদপাশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর-মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ দেলোয়ার হোসেন রাঢ়ী বলেন, নদী ভাঙনের কারণে প্রতি বছর আমার ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম বিলীন হচ্ছে। নদীর ভাঙন ঠেকাতে টেকসই ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন দনী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর তালিকা করে ইউনিয়ন পরিশদের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিব হোসেন তিনি বলেন, নদী ভাঙন রোধে টেকসই পদক্ষেপ নিতে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।