বড়ো আকৃতির ফল তরমুজ। তরমুজের ওজনের বেশিরভাগই পানি। পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় তরমুজ পানিশূন্যতা দূর করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। নিয়মিত তরমুজ খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে, চুলও সুন্দর হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ পাওয়া যায়। এ জন্যই বাংলাদেশের কৃষক ও ভোক্তাদের মধ্যে ফলটির উৎপাদন বৃদ্ধি ও ক্রেতার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রচলিত অনেক প্রজাতির তরমুজের মধ্যে বারোমাসি ‘বেবি তরমুজ’ অন্যতম। মাচা পদ্ধতিতে ‘বেবি তরমুজ’ চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রিগঞ্জ ইউনিয়নের রামগঞ্জ বিলাসীর রাবেয়া বেগম ও তার স্বামী আব্দুস সাত্তার। সমন্বিত কৃষি ইউনিট (কৃষি খাত) এর আওতায় পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়ন এবং সেলফ-হেল্প অ্যান্ড রিহেবিলিটেশন প্রোগ্রামের (শার্প) সার্বিক সহযোগিতায় ১৫ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে বেবি তরমুজ চাষ শুরু করেন রাবেয়া। খরচ হয়েছে ১৪ থেকে ১৭ হাজার টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬০০টির মতো, যার বাজারমূল্য ৩০ হাজার টাকা।