নারী। জুয়েলারির রূপেই নারীর মন। প্রবাদ আছে-স্বর্ণ ছাড়া নারীর মন পাওয়া যায় না। আধুনিক সভ্যতায় নারীর রূপ-সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে জুয়েলারি সামগ্রীর যেন বিকল্প নেই। নারীর মনকে গুরুত্ব দিয়ে কারিগররাও এর বাহারি রূপ দেন। দেশের বিভিন্নস্থানে জুয়েলারি মার্কেটগুলো পরিদর্শন করে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। জানা গেছে, প্রাচীনকাল থেকেই অলঙ্কারের প্রতি নারীর সহজাত আকর্ষণ। বাংলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সঙ্গে স্বর্ণালঙ্কারের নানা বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। স্বর্ণের গহনা মানুষের কাছে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এটা অনেকের আভিজাত্যের ও মর্যাদার অংশ হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। সমাজে ধনী-গরিব সব শ্রেণির মানুষ কমবেশি তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবহার করে। অনেকে ভবিষ্যতের জন্য সম্পদ হিসেবে যতটা সম্ভব স্বর্ণের গহনা নিজের কাছে রাখতে চান। কুমিল্লার জেলার চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ স্বর্ণ পট্টিতে কথা হয় তাহমিনা আক্তার নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, চেহারার বাইরে নারীর সৌন্দর্য প্রকাশ পায় জুয়েলারী সামগ্রী বিশেষ করে স্বর্ণ পরলে। পারিবারিক বা সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে স্বর্ণ না পরে গেলে নিজেকে অগোছালো মনে হয়। এক কথায়-স্বর্ণ ছাড়া বেমানান নারীর সৌন্দর্য। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ স্বর্ণ পট্টিতে নারীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। স্বর্ণের দোকানগুলোতে বিক্রিও বেড়েছে। বণিক জুয়েলার্সের স্বত্তাধিকারী সুষেণ বণিক বলেন, বর্তমানে এক ভরি স্বর্ণের এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি। অন্যান্য মালামাল কিনতে নারীরা হা-হুতাশ করলেও বেশি দামেই স্বর্ণ কিনছে। প্রবাসীর স্ত্রীরা স্বর্ণ কিনতে বেশি আসছে। কেউ নিজের জন্য আবার কেউ মেয়ের জন্য পছন্দ অনুযায়ী স্বর্ণ কিনছে। ঈদ উপলক্ষে কানের দুল ক্রয় করা চৌদ্দগ্রাম সরকারি কলেজের ছাত্রী আয়েশা আক্তার বলেন, মেয়েরা সাজতে ভালোবাসে। জুয়েলারি সামগ্রী পরলে সৌন্দর্য কিছুটা হলেও বাড়ে। একটি মেয়ের হাত ও গলা খালি অবস্থায় যেমন দেখায় গহনা পরলে নিশ্চয়ই তেমন দেখায় না। হোক সেটি স্বর্ণের বা ইমিটেশনের। কানে ও গলায় কিছু একটা থাকলে সৌন্দর্য বাড়ে। সে কারণে মেয়েরা জুয়েলারি সামগ্রী বেশি পছন্দ করেন। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আখতার বলেন, ‘শিশু অবস্থা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ হওয়া পর্যন্ত নারীরা স্বর্ণ পছন্দ করে। স্বর্ণ পরলে নারীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপলক্ষে নারীরা বেশি স্বর্ণ পরে। এতে নারীরা মানসিক শান্তি পায়’।