বান্দরবানের লামা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির আয়োজনে এনজেড একতা মহিলা সমিতির বাস্তবায়নে ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির আওতায় উপজেলা পর্যায়ে এডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এন.জেড একতা মহিলা সমিতির প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ আবুল কালামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোস্তফা জাবেদ কায়সার। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব শেখ মাহাবুবুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (লামা সার্কেল) মোঃ আনোয়ার হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিল্কি রানী দাশ, গজালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বাথোয়াচিং মার্মা, সদর ইউ,পি চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার মোঃ শহিদুল ইসলাম। তাছাড়া জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, ঈমাম ও শিক্ষক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ একদিন ম্যালেরিয়া মুক্ত হবেই। দেশে ম্যালেরিয়া নির্মূলে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং ব্র্যাকের একার পক্ষে ম্যালেরিয়া নির্মূল করা সম্ভব নয়। তার জন্য সবাইকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে এবং সরকার কর্তৃক ব্র্যাকের মাধ্যমে প্রদত্ত কীটনাশক যুক্ত মশারি ব্যবহারের নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। দেশে ম্যালেরিয়া নির্মূলের ক্ষেত্রে উল্রেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সরকারের টার্গেট অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূলের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি ব্রাক এর সার্বিক সহযোগিতায় লামা উপজেলায় এন.জেড একতা মহিলা সমিতি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। পার্বত্য এলাকায় ব্রাকের কীট নাশক যুক্ত মশারী ব্যবহার ও ম্যালেরিয়া চিকিৎসার ফলে এখন পাহাড়ী দূর্গম এলাকায় প্রায় ম্যালেরিয়া মুক্ত বলা যায়। এন.জেড একতা মহিলা সমিতির প্রোগ্রাম অর্গানাইজার তোফাজ্জল হোসেন জানান, লামা উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভার মধ্যে রুপসী পাড়া ইউনিয়নকে হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনি বলেন তুলনামূলক ভাবে এই একটি ইউনিয়নে ম্যালেরিয়া রোগটির সংখ্যা বেশী।