বরিশাল জেলার বৃহত্তম উপজেলা বাকেরগঞ্জে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে জমে উঠেছে পশুর হাট। ঈদ যতোই ঘনিয়ে আসছে জেলার ও বিভিন্ন উপজেলায় পশুর হাটগুলোতে বেচা বিক্রির পরিমাণ ততই বাড়ছে। বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণের শেষ প্রান্তে পার্শ্ববর্তী উপজেলা মির্জাগঞ্জের গাঘেষে অবস্থিত পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের বড় রঘুনাথপুর গ্রামের চেয়ারম্যানহাটই পশুর হাট। এই চেয়ারম্যান হাটে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে হাজার হাজার ক্রেতারা আসছেন কোরবানির পশু কিনতে। বরিশাল জেলার বৃহত্তম এই গরুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নৌপথে ও সড়ক পথে পাইকাররা আসছেন পশু বিক্রয় করতে। সরেজমিনে চেয়ারম্যান হাট ঘুরে দেখা যায়, জেলার অন্যতম এই পশুর হাটে ইতোমধ্যেই ছোট বড় বিভিন্ন সাইজের গরুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে। যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনার বিভিন্ন খামার থেকে পাইকাররা বড় বড় গরু নিয়ে আসছেন গরুর দাম ২ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা। স্থানীয় পাইকারক ও গরুর খামারিরা হাজার হাজার গরু নিয়ে আসছেন বিক্রি করতে। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৮০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে তাদের কাছে ৫ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর গরুর দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। আর বিক্রেতারা বলছেন গো-খাদ্যের দাম বাড়ার কারণে বেড়েছে পশুর দাম। সাইফুল মাঝি নামের এক ক্রেতা বলেন, গত বছরে যে গরু ১ লাখ টাকায় কিনেছি এই বছর সেই গরুর দাম ১ লাখ ৩০ থেকে দেড় লক্ষ টাকা চাইছে বেপারীরা। কুষ্টিয়ার গরু ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন জানান, আমি ২০ টি গরু নিয়ে বরিশালের এই চেয়ারম্যান হাটে ভোর রাতে এসে পৌঁছেছি। আমার ১০ মণ ওজনের গরুটি এ হাটের সবচেয়ে বড় গরু। গরুর দাম ৫ লাখ টাকা চেয়েছি। ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলছে ক্রেতারা। পছন্দ অনুযায়ী দাম পেলে বিক্রি করব। হাট ইজারাদার নজরুল ইসলাম লিখন জানান, এই বছর আমি ১ কোটি টাকায় হাট ইজারা নিয়েছি। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এই পশুর হাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিশ্চিন্তে পাইকাররা গরু নিয়ে আসছেন বিক্রয় করতে। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে হাজার হাজার ক্রেতারা আসছেন নির্বিঘেœ তাদের পছন্দের গরু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যাবস্থা রয়েছে।