কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা থেকে শত শত ট্রাক বোঝাই করে গরু যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার গবাদি পশুর হাটগুলোতে। এবছর উপজেলার খামারগুলোতে বিদেশি জাতের গরুর পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশীয় গরু মোটা-তাজা করেছেন খামারিরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণে খামারিদের সব ধরনের সহায়তা করা হয়েছে। ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে এবছর উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন পশুর হাটে যাচ্ছে নানা রং ও বাহারি নামের হাজার হাজার গবাদি পশু হাটে তোলার জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে খামারিরা। উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের খামারি আলামিন শিকদার জানান, তার খামারে এবছর ২৫টি গরু লালন-পালন করেছেন। রাজা-বাদশা নামে তার প্রায় ৩০ মন ওজনের দুইটি গরু রয়েছে যা উপজেলার মধ্যে সর্বোচ্চ বড় গরু বলে দাবী করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার জমির কাঁচা ঘাস, খড়, ভুষি খাইয়ে মোটা তাজা করেছেন তার গরুগুলো। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারী হাসপাতালের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক মনিটরিং চলছে। কোরবানির জন্য এ বছর উপজেলায় ২০ হাজারের অধিক গরু লালন-পালন করা হয়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে গবাদি পশু মজুদ রয়েছে। তাই সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে গরু আমদানি বন্ধ না হলে এবারও লোকসানের আশঙ্কা করছেন দেশীয় খামারিরা।