বাংলাদেশের জার্সিতে ফুটবল খেলার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাপানিকন্যা মাতসুশিমা সুমাইয়া। অবশেষে তার সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার পথে।
নেপালের বিপক্ষে দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন যে ২৩ জনের স্কোয়াড তৈরি করেছে, সেখানে রাখা হয়েছে সুমাইয়াকে। এখন ম্যাচে অভিষেক হওয়ার অপেক্ষায় এই ফরোয়ার্ড।
মাতসুশিমা সুমাইয়ার জন্ম জাপানে। তার মা জাপানি হলেও বাবা বাংলাদেশি। তার বাবার নাম মাসুদুর রহমান এবং মায়ের নাম মাতসুশিমা তমোমি। ২০২০ সাল থেকে তার ওপর নজর ছিল বাফুফের নারী ফুটবলের সাবেক প্রধান কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের।
গত দুই মৌসুমে তিনি নারী ফুটবল লিগে ছিলেন বসুন্ধরা কিংসে। সর্বশেষ লিগে ম্যাচ খেলেছেন কয়েকটি, গোলও করেছেন। লিগের পরপরই তাকে ডাকা হয়েছিল বাফুফের ক্যাম্পে। প্রথমবারের মতো তিনি জায়গা করে নিলেন জাতীয় দলের ২৩ জনের স্কোয়াডে।
জন্ম জাপানে হলেও দুই বছর বয়সে চলে আসেন ঢাকায়। রাজধানীর একটি ইংলিশ মিডিয়াম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করছেন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃইংলিশ মিডিয়াম স্কুল টুর্নামেন্টে নিজ স্কুলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুমাইয়া। সেই টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো তার দল চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি গোল করে সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন তিনি। মাঝে তিনি ইনজুরিতে পড়েছিলেন। চিকিৎসকরা ফুটবল না খেলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু সুমাইয়া ফুটবল খেলা ছাড়েননি। করোনা প্রকোপের মধ্যেও প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা অনুশীলন করে নিজেকে ফিট করে তুলেছেন। প্রবল ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রম আজ তাকে ঠাঁই করে দিয়েছে জাতীয় দলে।