গণতন্ত্রের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে, সার্বভৌমত্বের স্বার্থে আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করা জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বুধবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ২৮ জুলাইয়ের মহাসমাবেশ থেকে দেশের জনগণ এ সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে। তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার চান। তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চান। আমাদের নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি হিসেবে পরের দিন ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করি। সেদিন আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ দিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেছে। অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার ও আহত করেছে এই সন্ত্রাসীরা। এমনি আমাদের সিনিয়র নেতা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে মাটিতে ফেলে পিটিয়েছে পুলিশ, তা পুরো দেশবাসী দেখেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দ্রুত বিচার করে আমাদের সাজা দিয়ে তারা এককভাবে নির্বাচন করতে চায়। কেন আওয়ামী লীগ এটা করছে? আওয়ামী লীগ জানে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। তাদের কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাই আওয়ামী লীগ অস্থিরতা তৈরি করছে। জনগণ যেন ভোট দিতে না পারে। যেমন- তারা দু’টি নির্বাচন করেছে ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে জোর করে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে শান্তি সমাবেশের নামে আমাদের প্রত্যেকটি কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে। গণতন্ত্রের ন্যূনতম নর্মস বা রীতি আছে। তাও তারা রাখেনি। আমরা যদি তারিখ পরিবর্তন করি তারাও তারিখ পরিবর্তন করেছে। কতটা ভয় পেলে এ ধরনের কাজ করে। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত ভীত-সন্ত্রস্ত্র একটি দল। সত্যিকার অর্থে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়, তাহলে এরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যেভাবে নির্বাচন পার করার জন্য পায়তারা করে যাচ্ছে। সামনে নির্বাচনে যদি এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকে, এদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। গণতন্ত্র তো বিপন্ন হয়েছেই, দেশের অস্তিত্বও বিপন্ন হয়ে যাবে।