গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় বছর জুড়ে নতুন সড়ক নির্মাণ ও পুরনো সড়ক সংস্কার কাজ চললেও উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে কড়িহাতা ইউনিয়নের ইকুরিয়া বাজার পর্যন্ত সড়কটি গত ২ বছরে একবারও সংস্কার করা হয়নি। চারটি গ্রামের একমাত্র যাতায়াতের ভরসা এই সড়ক সংস্কারের কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ। জানাযায়, দুই বছর আগে খাল খনন কাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় ভাঙ্গন ও ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়। ফলে জনদুর্ভোগ থেকে পরিত্রান মেলেনি সাধারণ মানুষের। ওই খালটি রায়েদ ইউনিয়ন থেকে তরগাঁও ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কড়িহাতা ইউনিয়নের ইকুরিয়া বাজার দিয়ে এসে বানার নদীতে মিশেছে। প্রাচীন এই খালটি দীর্ঘদিন খনন না করার ফলে খাল ভরাট হয়ে যায়। দু’বছর আগে নতুন করে খননের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন উপজেলা প্রকৌশলী অফিস। এতে অর্থায়নে করে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সির (জাইকা)। খাল খনন শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়। সেই ফাটল ভেঙে গাছপালাসহ পাকা সড়ক চলে যায় খালের পেটে। বিভিন্ন পণ্য পরিবহনসহ জরুরী অসুস্থ মানুষদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন দুই বছর ধরে সাধারণ জনগ। উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাঈনউদ্দিন এক বছর আগে সড়কটি স্থায়ী মেরামতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্?হণের আশ্বাস প্রদান করলেও কোন প্রতিকার হয়নি। উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, তরগাঁও ইউনিয়নের ধলাগড় থেকে রায়েদ ইউনিয়নের দরদরিয়া পর্যন্ত প্রবাহিত ধলাগড় খালটি পুণ খননের কাজ শুরু হয়। জাপানি সংস্থা জাইকা’র অর্থায়নে ও স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্বাবধানে খালের পুর্ন খননের কাজ করেন তারা। উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের উত্তর খামের মাঝি বাড়ি এলাকার মোহাম্মদ মহোন মাঝি জানান, খালের পাশে বিভিন্ন গাছপালা ছিল তা কেটে ফেলা হয়। গাছপালার ঘোড়া সহ মাটি কেটে ফেলার ফলে এই ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে। এখন এই সড়ক দিয়ে মানুষ হেঁটে চলাচল করবে তার কোন উপায় নেই। এই সড়কটির অভাবে আমাদের অনেক পথ ঘুরে পার্শ্ববর্তী পাকড়ির বাজারে যাওয়া আসা করতে হয়। দুই বছর হয়ে গেছে সড়কটি এইভাবে পড়ে আছে। এলাকাবাসী মো. কামাল জানান, এই সড়কটির দুই মাথায় চারটি বিদ্যালয়ে রয়েছে। এই চারটি বিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা গত দুবছর ধরে সড়কটি ভেঙে খালে পড়ে থাকার কারণে অনেক পথ ঘুরে বিদ্যালয় যাওয়া আসা করে। আরেক এলাকাবাসী মোঃ হাসিবুর জানান, এই খাল খননের করতে গিয়ে সড়কটি রক্ষা করার জন্য যে মাটি ছিল তা খাল খননের সময় কেটে ফলা হয়েছে। অপরিকল্পিত ভাবে খাল খননের কারণে এই ভাঙ্গন। দুই বছর আগে যখন খাল খননের কাজ করে তখন অল্প পরিমাণে ভাঙ্গন শুরু হয় তখন যদি তা রোধ করা হতো তাহলে এতো ভাঙ্গন হতো না। একবছর আগে গজারি গাছ দিয়ে ভাঙ্গনরোধে জন্য বেড়া দেওয়া ছাড়া মাটি ফেলে ভেঙে যাওয়া সড়কটির ভরাট করার কোন ব্যবস্থা কেউ নেয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. মাঈন উদ্দিন জানান, খাল খননের ফলে কিছু জায়গায় সড়কে ভাঙ্গন দেখা দেয়। গুরুত্বপূর্ণ ভাঙ্গন গুলোর মধ্যে থেকে কিছু সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। ওই সড়কটি সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। বরাদ্দর অভাবে পরবর্তীতে তা আর সমাপ্ত করা যায়নি। ভেঙ্গে যাওয়া সড়কটুকু স্থায়ী মেরামত খুব শীগ্রই করা হবে।