টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ফলদা শেহাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম ও অবৈধভাবে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এসব কর্মকন্ডের প্রতিবাদে রবিবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১ টায় কলেজের সামনে ঘণ্টাব্যাপি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ফলদা গ্রামের সচেতন নাগরিক মহল। মানববন্ধনে অংশ নেন- কলেজ প্রতিষ্ঠাতার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান, কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম টগর, আব্দুল কাদের, ফলদা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরজু মিয়া, সদস্য জহিরুল ইসলাম, হিমেল সরকার মিন্টু, কলেজের ছাত্র রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। বক্তারা বলেন, কলেজের অধ্যক্ষ মো. শামছুল আলমের (অবসরপ্রাপ্ত) যোগসাজশে কলেজের অফিস সহায়ক আব্দুল আজিজ ঠান্ডু ও দপ্তরী আব্দুল মজিদের মাধ্যমে ল্যাব সহকারী, কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহায়কসহ মোট ৩ পদের বিপরীতে ১৪ লাখ টাকা করে মোট ৪২ লাখ টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে ওই পদগুলোতে নিয়োগ দেয়া হয়। তারমধ্যে অফিস সহায়ক আব্দুল আজিজ ঠান্ডু তার ছেলেকে ও দপ্তরী আব্দুল মজিদ তার মেয়ের জামাতাকে নিয়োগ পেতে সহায়তা করেন। কলেজে কোনো ল্যাব ও কম্পিউটার নেই। জানা যায়, কলেজের ল্যাব সহকারী পদে ৩ জন, অফিস সহায়ক ১ জন ও কম্পিউটার অপারেটর ১ জনসহ মোট ৫ জন চলতি বছরের জুন মাসের ১২ তারিখে তারা কলেজে যোগদান করেন ল্যাব সহকারী চয়ন ইসলাম ও অফিস সহায়ক মাজহারুল ইসলাম এমপিও ভুক্ত হওয়ায় নিয়মিতভাবে সরকারি বেতন-ভাতা তুলছেন। এনিয়ে যে প্রতিবাদ করে তাকেই প্রাণনাশের হুমকিসহ হয়রানির শিকার হতে হবে বলে জানান স্থানীয়রা। অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. শামছুল আলম জানান, আমি গত জুন মাসের ৬ তারিখে কলেজ থেকে অবসর নিয়েছি। এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নওজেশ আলী জানান, ওইসব পদে আগের নিয়োগগুলো অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্যার থাকাকালীন সময়ে হয়েছে। তিনি কলেজের কাগজপত্র বা অন্যান্য বিষয়গুলো এখনো বুঝিয়ে দেননি। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন এমপিও ভুক্ত হলেও কলেজে ল্যাব বা কম্পিউটার কোনো কিছু নেই। কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতি খন্দকার আহসানুজ্জামান বিশাল বলেন, কলেজের রেজুলেশন বহি মাঝে মধ্যে অধ্যক্ষ শামছুল আলম কাছে নিয়ে আসতো। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য কানিজ ফাতেমার স্বাক্ষর দেখতে পেয়ে হয়তো স্বাক্ষর করতে পারি।