বিভাগীয় শহর বরিশালে আন্তর্জাতিক হত্যা,খুন ও গুম প্রতিরোধ দিবস কর্মসূচি বরিশাল মহানগর, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি সহ বরিশাল জেলা বিএনপি দক্ষিণ পৃথকভাবে পালন করে। বুধবার (৩০ই) আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১ টায় সদররোডস্থ জেলা, মহানগর বিএনপি দলীয় কার্যলয় সম্মুখে মহানগর বিএনপি ও বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি এবং অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বরিশাল জেলা বিএনপি দক্ষিণ গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। বরিশাল মহানগর বিএনপি আহবায়ক মোঃ মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভপতিত্বে ও মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড.মীর জাহিদুল কবির জাহিদের সঞ্চলনায় প্রতিরোধ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এ্যাড. আলী হায়দার বাবুল, যুগ্ম আহবায়ক জিয়াউদ্দিন সিকদার, যুগ্ম আহবায়ক মাকসুদুর রহমান, মহানগর শ্রমিকদল আহবায়ক মোঃ ফয়েজ আহমেদ খান, ও মহানগর আহবায়ক কমিটির বিভিন্ন সদস্য মহিলাদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী নেতৃবৃন্দ, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি আহবায়ক দেওয়ান মোঃ শহিদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ রফিকুল ইসলাম লাবু, জিয়া উদ্দিন সুজন, বরিশাল উত্তর জেলা যুবদল সদস্য সচিব গোলাম মোর্সেদ মাসুদ সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করে। এর পূর্বে অশ্বিনী কুমার টাউন হল চত্বরে বরিশাল জেলা বিএনপি (দক্ষিণ) এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে প্রতিবাদ সভা করে। জেলা বিএনপি সদস্য সচিব এ্যাড. আবুল কালাম শাহিনের সভাপতিত্বে প্রতিরোধ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক এ্যাড. কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চু, যুগ্ম আলহাজ্ব আহবায়ক জিয়াউল হাসান সাবু, যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব মন্টু খান, কেন্দ্রীয় বরিশাল বিভাগীয় যুবদল সহ-সভাপতি এ্যাড. তছলিম উদ্দিন, জেলা যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. হাফিজ আহমেদ বাবলু, সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নাহিদ, যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আমিন কায়েস ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলার আহবায়ক ও সদস্য সচিব সহ বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় বিএনপি নেতৃবৃন্দরা বলেন এই অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার ক্ষমতায় থেকে আমাদের যেসকল নেতা কর্মীদের গুম, খুন ও হত্যা করেছে তার প্রতিটি গুম,খুনের আইনগত বিচার করা হবে। এই সরকার দিশেহারা হয়ে গেছে তাই ওরা জানে না জোড় করে আজ পর্যন্ত কেহ বেশিদিন ক্ষমতা দখল করে রাখতে পারে নাই। বিএনপি সহ সারাদেশের মানুষ একটি অবাধ সুষ্ট, নিরপেক্ষ ভোটের অপেক্ষার ¯্রােত বইতে শুরু করেছে। যদি সরকার নিজের ভাল চান তাহলে জনগনের বৃহত্তর আন্দোলনের আগে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিরপেক্ষ সরকারের মাধ্যমে বিএনপির সাথে ভোটের যুদ্ধে মুখামুখি হওয়ার আহবান জানান। পরে পৃথকভাবে মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতা কর্মীরা প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে মুখে কালো কাপড় বেধে নগরীর বিভিন্ন জনবহুল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় দলীয় কার্যলয় এসে শেষ করে।