মঠবাড়িয়া পৌর শহর ও প্রত্যান্তঞ্চল পর্যন্ত অবৈধ করাত কল (স্ব‘মিল) এর ছড়াছড়ি। এতে প্রতি বছর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমান রাজস্ব। অপরদিকে যত্রতত্র করাত কলের কারণে পরিবেশ নষ্ট হবার পাশাপাশি সড়কের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক করাত কল থাকলেও বর্তমানে ৮৭ টি সচল রয়েছে। এর মধ্যে ২৬ টির লাইসেন্স রয়েছে। ৪ টির আবেদন রয়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ ফেরদৌস খান বলেন, ইতোমধ্যে ৮ টি করাত কল মালিকের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও অবৈধভাবে গাছ কাটার দায়ে মাঝেরচর ইউনিটের ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এদিকে পৌর শহরের সবুজনগর গ্রামে হুমায়ূন কবির নামে এক ব্যাক্তি প্রভাব খাটিয়ে রাস্তার পাড়ে অবৈধ করাত কল স্থাপন করে পরিবেশ দূষণ, সড়কের ক্ষতি করায় স্থানীয় ১০ বাসিন্দা গণস্বাক্ষর করে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর শহরের মিরুখালী সড়ক, সাপলেজা সড়ক, গুলিশাখালী সড়ক ও উপজেলা প্রতিটি গুরুপ্তপূর্ণ সড়কের পাশে, বাজারের পাশে করাত কল স্থাপণ করা হয়েছে। এতে প্রতিনিয়তই ছোট-ছোট দূর্ঘটনা ঘটছে। স্কুল ছাত্রী তামান্না অক্তার(১৩) জানায়, করাত কলের পাশ দিয়ে পায়ে হেটে বা গাড়িতে আসা-যাওয়ার সময় গাছের গুড়া চোখে ঢুকে পরে। একই অভিযোগ করেছেন মটরসাইকেল চালক আলামীন(৪২), মনির(৩৫) সহ বেশ কয়েকজন। আলামীন আরেও বলেন, হেলমেড পরা থাকলেও গাছের গুড়া চোখে ঢুকে যায়। অটো চালক রবিউল ইসলাম(৪০) বলেন, প্রায় সময়ই রাস্তার পাথে গাড়ি থামিয়ে স্ব‘মিলে গাছ ওঠা নামানো করা হয়। এতে রাস্তার ক্ষতি হবার পাশাপশি যানজট সৃষ্টি হয় এবং দূর্ঘটনা ঘটে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম বলেন, ইতোমধ্যে করাত কল মালিক সবুজ নগর গ্রামের হুমায়ূন কবির ও থানাপাড়া এলাকার লিটন মিয়াকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন অবৈধ করাত কলের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।