বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, কোনো স্বৈরাচার জুলুম করে টিকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে এক র্যালির পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নিতে জুম্মার পর থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছে। ঢাকা দুই মহানগরে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ফেস্টুন, ব্যানার নিয়ে নয়া পল্টনে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এসময় তারা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে নয়াপল্টন।
র্যালির পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সরকার বলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নাকি একজন সৈনিক ছিলেন। কিন্তু তিনি এ দেশের মানুষের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরে দিয়েছিলেন। অথচ এ সরকার দেশের গণতন্ত্র, দেশের সকল প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে শেষ করে দিয়েছে। তারা দাবি করে ‘তারা নাকি গণতন্ত্র দিয়েছে, সেটা দেশের মানুষ ভালো করে জানে।’ আব্দুল মঈন খান বলেন, আমি একটা কথা বলতে চাই, কোনো স্বৈরাচার জুলুম করে টিকতে পারেনি, এ সরকারও পারবে না। আটকাতে পারবে না গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশেকে সমৃদ্ধির জন্য বিএনপি গঠন করেছিলেন। দেশেকে দুর্ভিক্ষের কবল থেকে রক্ষা করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছিলেন। আজ তাদের অসম্মান করা হয়। তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র মুক্ত করেছি, এবার তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব, এবারও বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
প্রধান বিচারপতির বিদায় কালের কথা তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘হস্তক্ষেপ মুক্ত না হলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না।’ এ কথা কি ওনার আসার সময় মনে ছিল না? যাওয়ার সময় মনে হয়েছে। এখন বলে লাভ কী হবে? প্রত্যেকটি অপকর্মের বিচার হবে এই দেশে। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, স্বাস্থ্য-বিষয়ক সম্পাদক ডা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।